ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
এনিয়ে একই অভিযোগে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মামলার আবেদন খারিজ করা হলো।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল খারিজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট—৪ এর আদালতের বেঞ্চ সহকারী তারিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আট জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ভুক্তভোগীর জবানবন্দি শুনেছেন। এরপর আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।
এর আগে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এমএ হাশেম রাজু।
মামলার আবেদনে বিবাদি করা হয় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম, বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাদ, এহচান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুলকে।
জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘পিটার হাস বলছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমরা মোটা চালের ভাত খাই। আপনি বিএনপির ভগবান। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বেচি না। আপনাকে এমন মারা মারব, বাঙালি কত দুষ্টু তখন বুঝতে পারবেন।’
এছাড়াও একইদিন কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ৬ নভেম্বর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদুল আলম। সেই বক্তব্যের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে ফরিদুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কী একটা পাতি হাঁস আসছে। পিটার হাস বদমাইশ। সে বিএনপির হয়ে যে অসভ্য কাজ-কারবারগুলো বাংলাদেশে করছে, তাকে পেলে জবাই করে মানুষকে খাওয়াইতাম। সেই পিটার হাস, বদমাইশ।’
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে একই ব্যক্তি বাদি হয়ে একই ঘটনায় চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুজিবুল হক চৌধুরীসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন। তবে আদালত মামলাটি গ্রহণ করেননি।
আরএম/ডিজে