চট্টগ্রামেও ওমিক্রনের হানা, ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে

চট্টগ্রামে ৮ জনের শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জায় (জিআইএসএআইডি) এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

যেসব রোগীদের নমুনায় ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে তাদের নমুনা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ল্যাব ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ল্যাব থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এসব নমুনা গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। শনাক্তদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী।

এসব করোনা আক্রান্ত রোগীদের করোনার নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছেন চট্টগ্রামের একদল গবেষক। আইসিডিআরবির ল্যাবে হওয়া এই গবেষনার গবেষক দলে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদনান মান্নান, ডা. এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী, ডেভিড জে কেলভিন, আবদুল্লাহ মাহমুদ আল রাফাত, ডা. আব্দুর রব, মিনহাজুল হক , ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস, ফাহিম হাসান রেজা, মজনু মিয়া, রাশেদুল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. এনায়েত হোসাইন।

ওমিক্রন ছড়ানোকে আতঙ্কের মনে করার কোন কারণ নেই মন্তব্য করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি) এর করোনা পরীক্ষারের ইনচার্জ অধ্যাপক ড শাকিল আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওমিক্রন খুব দ্রুত ছড়ায়। তবে ওমিক্রনের ফলে গুরুতর কোন অসুবিধা হতে শুনিনি। কাজেই এটি নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নাই। অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এটি কম ঝুঁকির। এর ফলে দ্রুত এবং সহজে সবার শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। খুব শীঘ্রই এটি সাধারণ ফ্লু’র মত হয়ে যাবে।’

এআরটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!