চট্টগ্রামেই রচিত হচ্ছে আরেক ইতিহাস, টেস্টে বাংলাদেশের ম্যাচ রেফারি

করোনার ‘কল্যাণে’-ই বাংলাদেশের সামনে সুযোগটি এসে যায়। করোনাকালীন সময়ে ম্যাচ অফিসিয়াল স্ব স্ব বোর্ড ঠিক করবে বলে যে নিয়ম করে দিয়েছে আইসিসি। সেই নিয়মে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অলরাউন্ডার নিয়ামুর রশিদ রাহুল।

আইসিসির শর্ত পালনে ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ রেফারি প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে। ক্রমে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেড়েছে ম্যাচ রেফারির সংখ্যা। ম্যাচ রেফারিদের জন্য বেতনভুক্ত চিফ ম্যাচ রেফারি এবং কো-অর্ডিনেটর নিয়োগও দিয়েছে বিসিবি। টেস্ট ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে এনামুল হক মনি’র আম্পায়ারিংয়ের অতীত আছে। ২০০২ সাল পর্যন্ত এক প্রান্তে স্বাগতিক দেশের আম্পায়ার ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ পেতেন। সেই সুবাদে আক্তারউদ্দিন শাহীন, মাহবুবুর রহমানরা করেছেন টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং।

তবে ম্যাচ রেফারির দায়িত্বটা এতোদিন পাননি বাংলাদেশের কেউ। করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী সেই সুযোগ করে দিল বাংলাদেশকে, স্পষ্ট করে বললে নিয়ামুর রশিদ রাহুলকে। যিনি ইতোমধ্যে তিনি সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজসহ মোট ৯টি একদিনের ম্যাচের ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে কখনও টেস্টে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পাননি। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) টস-এর সঙ্গে সঙ্গে ৪৬ বছর বয়সী ম্যাচ রেফারি রাহুল হয়ে যাবেন ইতিহাস।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম প্রতিদিনের পাঠকরা আগেই জেনেছেন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ইলিংওয়ার্থের পাশে থাকবেন আইসিসি প্যানেল আম্পায়ার বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার না হলে টেস্টে আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ নেই, করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী এ শর্ত করেছে শিথিল। ফলে ২০০২ সালের পর দেশের মাটিতে বাংলাদেশ দলের টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পাচ্ছেন সৈকত। ইলিংওয়ার্থের সাথে ২ টেস্টেই আম্পায়ারিং করবেন তিনি। টিভি আম্পায়ার হিসেবে ২ ম্যাচেই বরাদ্দ থাকছেন গাজী সোহেল। আর রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন দেশের আরেক আন্তর্জাতিক আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!