চটপটির দোকান ও রেস্টুরেন্টের নামে ২৩৪ কোটি ঋণ এস আলমের

খতিয়ে দেখবে দুদক

ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৩ টি শাখা থেকে ২৩৪ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে চটপটি দোকান ও দুটি রেস্টুরেন্ট দেখিয়ে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্টানের নামে দেশের বিতর্কিত শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির সাবেক মালিক সাইফুল আলম মাসুদের পকেটে। এবার এমন অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের একটি চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরার বিপরীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৩৪ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমি নওরোজ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইট অ্যান্ড ট্রিট নামের চটপটির দোকানটি চট্টগ্রাম মহানগরীর আসকার দীঘির পাড়ে। এর পাশেই ফিউশন ইটস নামের একটি রেস্তোরাঁ ও অপরটি লা এরিস্টোক্রেসি নামের রেস্তোরাঁটি তিনবার জায়গা বদল করে এখন নগরীর আগ্রাবাদে। সামান্য ব্যবসার বিপরীতে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে লা এরিস্টোক্রেসি রেস্তোরাঁটির নামে ২ কোটি টাকার ঋণসীমা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নাজমি নওরোজ উত্তোলন করেছেন ৭০ কোটি টাকা, যা সুদ-আসলে ১১৭ কোটি টাকা হয়েছে। ওই টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আসকার দীঘির পাড়ের মহিলা শাখা থেকে। একই প্রতিষ্ঠানের নামে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ উত্তোলণ হয়। যা সুদে-আসলে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হয়েছে।

এর বাইরে ব্যাংকটির চকবাজার শাখা থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ২৭ কোটি টাকা। চকবাজার শাখার পুরো টাকাসহ অন্যান্য ঋণ এস এলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদ নিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm