চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থেকে ইশতিয়াক আলী ওয়াসিফ নামের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম কলেজের সামনে থেকে এক কিশোরকে ছুরি মেরে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়াসিফের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা আছে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে গ্রেপ্তার করা হলেও বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চকবাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। ওয়াসিফকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওয়াসিফ নগরীর চান্দগাঁও বহদ্দারহাট এলাকার আলী আকবরের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজেশ শর্মা অপু নামের এক যুবক ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। চাকরি থেকে বাসায় ফেরার পথে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের সামনে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন অজ্ঞাত ছিনতাইকারী প্রথমে গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহুর্তের মধ্যে তারা ছুরি দিয়ে আঘাত করে অপুর পায়ে। এ সময় তার হাতে থাকা আইফোন-৬ মডেলের একটি মোবাইল ছিনিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
এ ঘটনায় ভিকটিম চকবাজার থানায় গেলে পুলিশ প্রথমে একটি হারানো জিডি করে দায় সারতে চেয়েছিল। পরে বিষয়টি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলে এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের মামলা নেয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওয়াসিফের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে চারটি, ডাকাতি প্রস্তুতি ও ছিনতাইসহ মোট ১৬টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
আরও জানা গেছে, চান্দগাঁও, চকবাজার ও পাঁচলাইশ থানা এলাকায় দীর্ঘদিন ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ওয়াসিফ। তার দলে অন্তত ৪০ জন পেশাদার ছিনতাইকারী সক্রিয় রয়েছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলে ঘুরে সুযোগ বুঝে তারা ছিনিয়ে নেয় নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন। সম্প্রতি চান্দগাঁও থানায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া আরেক শীর্ষ ছিনতাইকারী শহীদুল ইসলাম ওরফে বুইশ্যার অন্যতম সহযোগী ওয়াসিফ।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ওসি মো. মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, ‘গত ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কলেজের সামনে এক কিশোরকে ছুরি মেরে করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছিনতাইকারী ইশতিয়াক আলী ওয়াসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছিনতাইয়ের ১৬টি মামলা রয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরএ/ডিজে