চকবাজারের ভাঙচুর মামলায় বাঁশখালীর সাংবাদিক, বাদিই চেনেন না আসামিকে

চট্টগ্রামের চকবাজারের গুলজার টাওয়ারে একটি ভাঙচুর মামলায় আসামি করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের বাঁশখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক উজ্জ্বল বিশ্বাসকে। অথচ ঘটনার দিন তিনি ছিলেন নগরী থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে বাঁশখালীতে।

এদিকে মামলা করলেও আসামি উজ্জ্বল বিশ্বাসকে চেনেন না বলে জানিয়েছে বাদি মো. হাবিব উল্লাহ।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে চকবাজার থানায় সাংবাদিক উজ্জ্বল বিশ্বাস, কাউন্সিলর নূর মোস্তাফা টিনুসহ ৯০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।

মামলার এজাহারে দেখা গেছে, উজ্জ্বল বিশ্বাসকে ৮২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

অথচ তিনি কখনও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এমনকি ঘটনাস্থল থেকে তার বাড়ি প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দূরে বাঁশখালী উপজেলায়। তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন এবং আলোকিত চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে সাংবাদিকতাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িত নই আমি। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বাঁশখালীর বাণীগ্রাম-সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিত শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করতাম আমি। ওখানে শিক্ষকতা করার সময় অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করলে নিম্ন আদালত, আপীল আদালত ও উচ্চ আদালতের রায় এবং আদেশে ২৪ বছর পর জৈষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে খরচসহ শিক্ষকতা পদ ফিরে পাই।

তিনি বলেন, রায় ও আদেশ পাবার পর থেকে নিয়োগে বাধা দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে পর পর দুটি মিথ্যা মামলা করে। ওই মামলাগুলো থেকে খালাস পাওয়ায় বিভিন্নভাবে মামলা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল তারা। এজন্য গত ১১ জুন বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলার আশঙ্কায় সাধারণ ডায়েরিও করেছি। গত ১৬ মে ৩ হাজার টাকা খরচ ফি দিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষকতা পদ ফিরে পাবার রায় ও আদেশের কপি সংযুক্ত করে আবেদন করলে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে তারা। ধারণা করছি, বাদিকে ভুল বুঝিয়ে শিক্ষকতা পদে যোগ দিতে বাধাগ্রস্ত করতে মামলায় আসামি করা হয়েছে আমাকে।

উজ্জ্বল বিশ্বাস আরও বলেন, উপজেলা সদরের থানার পাশে গ্রাসরুটস্ চাইল্ড কেয়ার কে.জি স্কুলের পরিচালক আমি। মামলায় সময় গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা এবং ঘটনাস্থল চকবাজারের গুলজার টাওয়ার দেখানো হয়েছে। ওইসময় আমি বাঁশখালী থানার পাশে আশকরিয়া সড়কে এবং বাঁশখালী থানার সামনে বাড়ির পথে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বাঁশখালী থানার তিনটি সিসিটিভি ফুটেজে তদারকি করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদি মো. হাবিব উল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, আপনি কোথা থেকে বলছেন? আমি আপনার সঙ্গে আগামীকাল দেখা করবো।’

উজ্জ্বল বিশ্বাসকে চেনেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, আমি উনাকে চিনি না। আমি আপনাকে একটু পর ফ্রি হয়ে ফোন দিচ্ছি।’ এরপর তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm