গ্রাহক সেজে তিন দালাল ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট, একজনের দণ্ড

চট্টগ্রামের বিআরটিএ’তে অভিযান

তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কিন্তু গ্রাহক সেজে (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) বিআরটিএ’তে গিয়েছিলেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে। সরকারি প্রটৌকল দূরে রেখে সাধারন বেশে গেটের কাছে একজনকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, বিআরটিএতে লাইসেন্স করার পদ্ধতি কী? খরচ কেমন?

যাকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি নিয়ে গেলেন অন্য একজনের কাছে। সেই ব্যক্তি অল্প সময়ের মধ্যেই ১৩ হাজার টাকায় লাইসেন্স করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কাগজপত্র জমাও দিতে বলেন সেই ব্যক্তি।

অথচ সরকারিভাবে লাইসেন্স করতে ব্যাংকে জমা দিতে হয় ৩ হাজার টাকা। দরদামের কথা শুনে তার কাছে বিষয়টি পরিস্কার হয় লোকটি দালাল। তখন গ্রাহক সেজে লাইসেন্স করতে যাওয়া ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তার করেন ওই দালালকে।

এমনই ঘটনা ঘটেছে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের বিআরটিএ কার্যালয়ে। আর এ অভিযানটি পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম।

এ সময় তিনি অভিযান চালিয়ে ৩ দালালকে হাতেনাতে আটক করেন। আটক তিনজন হলেন- মো. আবদুল্লাহ আল মিন্টু, মো. রবিউল হোসাইন এবং মো. গালিব। এর মধ্যে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল হলেন আবদুল্লাহ আল মিন্টু।

মো. আশরাফুল আলম জানান, ‘ছদ্মবেশে বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৩ দালালকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং বাকি দুইজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই আমাদের কানে আসছিল বিআরটএতে দালালদের উৎপাত আবারও বেড়েছে। সাধারন মানুষকে সেবা পেতে বিআরটি্এতে গেলে দালালদের মাধ্যমে যেতে হয়।’

আশরাফুল আলম বলেন, ‘আটককৃত দালালদের কাছ থেকে আমরা বিআরটিএ’র কিছু কর্মকর্তার নাম জেনেছি, যারা এ দালালচক্রের সাথে জড়িত। আমরা তাদের ওপর নজর রাখছি।’

বিআরটিএ কার্যালয়ে সেবা পেতে হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার হলে জেলা প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ জানান এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!