গ্রাম আদালত পরিচালনায় এবং আইন ও বিধি প্রয়োগে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের ছয় উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে চট্টগ্রামের ১৯১টি ইউনিয়নে কার্যকর গ্রাম আদালত গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
১০ মার্চ (সোমবার) সকাল ১০টায় নগরীর একটি হোটেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত বিষয়ক চার দিনের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী করা হয়। চট্টগ্রাম জেলায় মোট ৮টি ব্যাচে বিভক্ত হয়ে ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে এ প্রশিক্ষণ। প্রতিটি ব্যাচকে ৪ দিন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পটি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. নোমান হোসেন। তিনি বলেন, গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে গ্রাম আদালতকে কার্যকর করে গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প সময়ে, অল্প খরচে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের ভূমিকা অপরিসীম।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের চট্টগ্রাম জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সাজেদুল আনোয়ার ভূঁঞার সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট এনামুল হক খসরু, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ রুপন কুমার দাশ, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প, বাস্তাবায়ন সহযোগী সংস্থা ইপসা’র সমন্বয়কারী ফারহানা ইদ্রিস, গ্রাম আদালত প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহন উদ্দিন, উপজেলা সমন্বয়কারী জানে আলম, জেসমিন আক্তার, মাহবুবুর রহমান, মোহছেনা আক্তার, বাবুল আরাফাত, আঁখি বড়ুয়া, বাদশা আলম ও ইমতিয়াজ উদ্দিন মোশেদ।
চট্টগ্রাম জেলায় আয়োজিত প্রশিক্ষণে রিসোর্স টিমের সদস্য হিসেবে সেশন পরিচালনা করবেন ডিস্ট্রিক্ট ট্রেনিংপুলের সদস্য চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের গ্রাম আদালত পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধি হবে। একইসঙ্গে মামলার নথিপত্র, আইন ও বিধি মালা অনুযায়ী প্রস্তুত করার মধ্যদিয়ে স্থানীয় পর্যায়ের বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।