‘গ্যাং লিডার’ লিমনের রিমান্ড না মঞ্জুর, ‘সহযোগীর’ ২ দিনের রিমান্ড

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সম্পাদক সাইফুল আলম লিমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য করা রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার সহযোগী সজল দাশের দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন আদালত। অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত এই আদেশ দেন।

রোববার (৮ নভেম্বর) লিমনের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি হয়। লিমনের পক্ষে জামিনের আবেদনও করা হয় বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

লিমনের রিমান্ড না মঞ্জুরের বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হওয়া সাইফুল আলম লিমন ও সজল দাশের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন ছিল। আদালত শুনানি শেষে সজল দাশের দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন। লিমনের রিমান্ড না দিয়ে কারাগারে ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লিমনকে নগরীর মেহেদীবাগ বাসা থেকে এবং সজল দাশ নামে লিমনের এক সহযোগীকে সিআরবি এলাকা থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার লিমন ও তার সহযোগীকে ডিবি পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রোববার লিমনের উপস্থিতিতে শুনানির আদেশ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সিআরবি ডাবল মার্ডার ছাড়াও সাইফুল আলম লিমন বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিনে থাকলেও সজল দাশ নামে লিমনের এক সহযোগীর কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। মামলাটি নগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের হলেও মামলার তদন্ত করবে গোয়েন্দা পুলিশ।

পগত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম নতুন আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতের সামনে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি মোক্তারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তার উপস্থিতি না থাকলেও সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

সিএমপির ডিবি দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার আলী হোসাইন বলেন, ‘আদলতে ওই হামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদাবাজি ও গ্যাং নিয়ন্ত্রণেরও নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে সজল দাশ (২৩) নামের আরও এক সহযোগীও ছিল। যার কাছে একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া গেছে।’

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটাও লিমনের উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘জিজ্ঞাসাবাদে সজল দাশ বলেছে তাকে লিমনই পিস্তলটা রাখতে দিয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধেই কোতোয়ালী থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্য অভিযোগ গুলোর বিষয়েও আমরা তদন্ত করছি।’

২০১৩ সালের ২৪ জুন সিআরবি সাত রাস্তার সামনে যুবলীগের বিকর্কিত নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগের কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও শিশু আরমান (৮) নিহত হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় লিমনকে দ্বিতীয় প্রধান আসামি করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। সেসময়ও গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন লিমন। এরপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে অস্ত্রগুলিসহ লিমনকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm