গোপনে জামিন নিয়েছেন জি কে শামীম, জানে না রাষ্ট্রপক্ষ

0

অত্যন্ত গোপনীয়তায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, জামিনের ব্যপারে তারা কিছুই জানে না।

জানা গেছে, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের জামিন নেন জি কে শামীম। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে তিনি এই জামিন নেন। তার জামিনের লিখিত আদেশ প্রকাশিত হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে জামিন নেন শামীম। ৬ ফেব্রুয়ারি জামিনের আদেশ হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি আদেশের কপি বের হয়।

s alam president – mobile

জামিনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফজলুর রহমান খান জানান, তিনি জামিনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। রোববার (৮ মার্চ) খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই ভবন থেকে নগদ প্রায় ২ কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়া যায়।

তখনই শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ৩টি মামলা করে র‌্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়। প্রত্যেক মামলাতেই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মামলা হওয়ার এক মাসের মাথায় ২৬ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় শামীম ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। সেখানে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত ‘চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসায়ী’ হিসেবে পরিচিত। তার অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও তিনি শর্ত ভঙ্গ করে তা অবৈধ কাজে ব্যবহার করে আসছিলেন।

Yakub Group

তার দেহরক্ষীদের উচ্চ বেতনভোগী ‘দুষ্কর্মের সহযোগী’ হিসেবে বর্ণনা করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন বড় বড় টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
যে ৮টি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল, এর মধ্যে একটি ছিল শামীমের নামে লাইসেন্স করা পিস্তল। বাকি ৭টি তার ৭ জন দেহরক্ষীর ব্যবহারের শটগান, যেগুলো তাদের নামেই লাইসেন্স করা ছিল।

এই মামলায় জি কে শামীমের ৭ দেহরক্ষী হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

এএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!