গেইল ঝড়ের পর কোহলির ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি

ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে প্রথমে দেখা মিলে ক্রিস গেইল নামক ঝড়ের। তবে সে ঝড় বড় আকার ধারণ করার আগেই থেমে গিয়েছিল। গেইল ঝড়ের পর পোর্ট অব স্পেনে রাজত্ব করে বৃষ্টি। সাধারণত বৃষ্টি দূর্বল করে দেয় ঝড়কে, কিন্তু সমুদ্রের ঢেউকে নয়। ঠিকই ক্যারিবিয়ান সাগরের ঢেউয়ে পরিণত হওয়া বিরাট কোহলির ব্যাটিং ভারতকে ম্যাচ এবং সিরিজ জিতিয়ে দেয়। সিরিজে যে দুটি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমেছেন ভারতের রেকর্ড মাস্টার বিরাট কোহলি দুটিতেই তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪২ ও ৪৪তম সেঞ্চুরি।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে পূণঃনির্ধারিত ৩৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করেতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় সমান ওভারে ২৫৫ রানের। কোহলির সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩২.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ভারত। তবে রানআউটে কাটা পড়ে যান ৬ বলে ১০ রান করা রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ান মিলে ৫৮ বলে যোগ করেন ৬৬ রান। তেরতম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৩৬ রান করেন ধাওয়ান। এক বলই ফিরে যান রিশাভ পান্তও।

তবে থেমে থাকেননি কোহলি। পাঁচ নম্বরে নামা শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে মিলে গড়েন ম্যাচের ভাগ্য। এ দুজনের জুটিতে মাত্র ৯৪ বলে ১২০ রান পায় ভারত। সাহসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৪১ বলে ৬৫ রান করে আউট হন শ্রেয়াস। নিজের ইনিংসটিকে ৩ চার ও ৫ ছয়ের মারে সাজান তিনি।

শ্রেয়াস ফিরে গেলেও উইকেটে থেকেই দলের জয় নিশ্চিত করেন কোহলি। শচিন টেন্ডুলকারের করা ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড থেকে মাত্র ৬ সেঞ্চুরি দূরে তিনি। কোহলির এ সেঞ্চুরিতে ভর করেই ১৫ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।

এছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে মাত্র ৩৫ ইনিংসেই নবম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গড়েন নির্দিষ্ট কোনো দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সমান ৯টি সেঞ্চুরি রয়েছে শচিনেরও। তবে তিনি খেলেছেন দ্বিগুণ সংখ্যক ইনিংস। রেকর্ড হয়েছে আরও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ ৪টি সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি। এছাড়া অধিনায়ক হিসেবে ২১তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রিকি পন্টিংয়ে গড়া ২২ শতকের রেকর্ড থেকে মাত্র ১টি দূরে এ ব্যাটিং জিনিয়াস।

কোহলির রেকর্ডের আগে অবশ্য গেইল ঝড় দেখেছে ত্রিনিদাদের দর্শকরা। নিজের ৩০১তম ওয়ানডেটি খেলতে পিঠে ৩০১ লেখা জার্সি পরেই নামেন গেইল। পরে ৮ চার ও ৫ ছক্কার মারে মাত্র ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সঙ্গে বাকিদের ছোট ছোট ইনিংসে ৩৫ ওভারে ২৪০ রান করতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!