চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ট্রেন দুর্ঘটনার সময় রেলগেইট এলাকায় কোনো গেইটম্যান ছিল না বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। গেইটম্যান সাদ্দামের অবহেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করছেন তারা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল ওয়াজেদ মামুন বলেন, ‘ঘটনার সময় গেইটম্যান সাদ্দাম ছিল না। তার অবহেলার কারণে একসাথে ১১ জন মারা গেছে।’
মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শামছুদ্দোহা বলেন, ‘যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে ওইখানকার গেইটম্যানের সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নাই। এটি আমাদের আওতায় নেই।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) লাবিব আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে মাইক্রোবাস আরোহী ১১ যুবক। আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে এটুকু জানা গেছে তারা সকলেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার এলাকা থেকে ঝরনা দেখতে এসেছিল।
এর আগে শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা পৌনে ১টার দিকে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরনা এলাকার রেলক্রসিংয়ে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসেন মাইক্রোবাসের চালকসহ ১২ যুবক। ঝরনা দেখা শেষে ফেরার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতি তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।
এদিকে ঘটনার পরপর মিরসরাই থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জিআরপি পুলিশের সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) খোরশেদ আলম জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি কেটে কেটে লেন থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
এমএফও