চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে ধর্ষণের অভিযোগে মূলহোতাসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগী মো. জাহেদ।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) গভীর রাতে বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাশেমনগর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন এক গৃহবধূ। সম্প্রতি তার স্বামী পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলে যান। এরপর ওই গৃহবধূ তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাবারবাড়ি মুরাদপুর ইউনিয়নে চলে যান।
গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে গৃহবধূ জানতে পারেন দুষ্কৃতকারী তার বাসায় ঢুকে মালামাল বের করে নিয়ে যাচ্ছে। এমন খবর শুনে তিনি বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, ঘরের আসবাবপত্রসহ সবকিছু এলোমেলো। এ সময় আসামিরা তার বাসা থেকে আনুমানিক দেড় লাখ টাকার জিনিসপত্র লুট করে।
পরে গৃহবধূ ও তার স্বজনরা ২৮ জুলাই রাত সোয়া ১২টার দিকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে দুষ্কৃতকারীরা গৃহবধূ ও তার স্বজনদের মারধর করে। পরে বাড়বকুণ্ড এলাকার জুট মিল সংলগ্ন রেল লাইনের একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে গৃহবধূকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণও করে। খবর পেয়ে গৃহবধূর বড়ভাই তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ জুলাই) ওই গৃহবধূ সীতাকুণ্ড থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, ‘গ্রেপ্তার দু’জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনার মূলহোতা সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে।’
ডিজে