চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্নাতক প্রথম বর্ষের (শিক্ষাবর্ষ-২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এবার প্রকৌশল গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। চুয়েট কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রগুলোতে মোট উপস্থিত ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর হার ছিল ৮২.৩ শতাংশ।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) চুয়েট কেন্দ্র এবং ৪টি উপকেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উপকেন্দ্র ৪টি হলো—চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ, কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
জানা গেছে, ১১টি সংরক্ষিত আসনসহ চুয়েটের ৯৩১টি আসনের বিপরীতে মোট ২০ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষাটি ‘ক’ গ্রুপ (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) এবং ‘খ’ গ্রুপ (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ) দুটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে ‘ক’ গ্রুপে মোট ১৮ হাজার ৪৮১ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে মোট ১ হাজার ৬৪১ জন পরীক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। যার মধ্যে চুয়েট কেন্দ্রে অংশ নেন বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের ৮৭ শতাংশ। পাশাপাশি চুয়েট কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রগুলোতে মোট উপস্থিত ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ৮২.৩ শতাংশ।
এবার ‘ক’ গ্রুপের পরীক্ষা সকাল ১০ টা থেকে বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত এবং ‘খ’ গ্রুপের (মুক্তহস্ত অঙ্কন) পরীক্ষা দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া মহোদয় সকাল ১১টায় চুয়েট কেন্দ্রের বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন। এ সময় ভর্তি কমিটির সভাপতি চুয়েট পুর ও পরবিশে কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ের ওপর ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের জন্য ৫০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ‘খ’ গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের ৫০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি অংশগ্রহণ করতে হবে ২০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষায়।
জেডএস/ডিজে