গার্মেন্টস কর্মীকে ৩ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ, চট্টগ্রামে চালক-হেলপার ধরা

চট্টগ্রামের ইপিজেডে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে তিনমাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে বাসের চালক-হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে চান্দগাঁও থানার ওসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বাস চালকের নাম মো. দিদার ও হেলপারের নাম মো. ফরহাদ।

এদের মধ্যে দিদারের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া থানা এলাকায় এবং ফারহাদের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানা এলাকায়। তারা বর্তমানে চান্দগাঁওয়ের ওসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরির জাহাঙ্গীর কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকে।

জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তিনমাস আগে বাসের হেলপার ফরহাদের সঙ্গে পরিচয় তার। পরিচয়ের এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত (১৭ নভেম্বর) ওই গার্মেন্টস কর্মীকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায় হেলপার ফরহাদ। পরে তাকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে হেলপার ফরহাদ ও চালক দিদার। গত (২৪ ডিসেম্বর) ওই বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসেন ওই গার্মেন্টসকর্মী। পরে ওই গার্মেন্টকর্মী অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খোন্দকার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ইপিজেড থানা এলাকায় এক গার্মেন্ট কর্মীকে তিনমাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দুইব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এএন/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!