গাড়ি পুড়লো ঢাকায়, আসামি চট্টগ্রাম যুবদলের দুই নেতাও

রাজধানী ঢাকায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত সাত থানায় ১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে। এসব মামলায় কমপক্ষে চারটিতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি এবং একটিতে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদকেও আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ঢাকায় গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের করা ১৫টি মামলায় আমাদের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের শীর্ষ দুই নেতা মোশারফ হোসেন দীপ্তি এবং মোহাম্মদ শাহেদও রয়েছেন।

জানা গেছে, ১৫ মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা দক্ষিণ সিটির সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমানসহ সাড়ে পাঁচশত জনকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়াও ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনকে চার মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ছিল ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ। ওইদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ১১টি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। আগুন দেওয়ার ঘটনার জন্য সরকার দলীয় শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিরা সরাসরি বিএনপিকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়ে আসছেন শুরু থেকেই। আর বিএনপি নেতৃবৃন্দ অস্বীকার করে এর জন্য সরকারি দলকে দায়ী করে আসছেন।

চট্টগ্রাম যুবদলের শীর্ষ দুই নেতা মোশারফ হোসেন দীপ্তি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এবং মোহাম্মদ শাহেদ বিভাগীয় সহসম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন।

ঢাকার মামলায় আসামি হওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি জানান, সাংগঠনিক কর্মসূচিতে একটানা ব্যস্ত থাকায় শারীরিকভাবে গত পাঁচ-ছয় দিন আমি অসুস্থ এবং চট্টগ্রামে অবস্থান করছি। আগে যেরকম গায়েবি মামলায় আসামি হয়েছি এবারও গায়েবি আসামি হয়েছি। অথচ অগ্নিসংযোগকারিদের একজন জনতার হাতে ধরা পড়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন অগ্নিসংযোগকারিরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, আমরাসহ আমাদের যুবদল, ছাত্রদল এবং অভিভাবক সংগঠন বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দকে আসামি করা দুঃখজনক এবং হাস্যকর।

এফএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!