গাছতলায় বসে ক্লাস নেবেন চবি শিক্ষক

করোনা পরিস্থিতিতে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার প্রতিবাদে সশরীরে গাছতলায় ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম।

বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মাইদুল ইসলাম তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এই ঘোষণা দেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আগামী রবিবার সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্লাস নেবো।
দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ। অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার বাস্তবতা অনেক শিক্ষার্থীরই নেই। ছেলেমেয়েদের শিক্ষাজীবন বিলম্বিত হচ্ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে ; কর্মজীবনে প্রবেশ বিলম্বিত হচ্ছে। এরকম আরো অসংখ্য কারণ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার। সব খোলা থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেনো বন্ধ থাকবে?

তিনি লিখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ক্লাসরুম না পেয়ে গাছতলায় প্রতীকী ক্লাস নিচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের নির্ধারিত দিন-তারিখ অনুযায়ী আগামী রবিবার সকাল এগারোটায় বিভাগে উপস্থিত থাকবো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্লাস নেবো। ক্লাসরুম খোলা না পেলেও এই সবুজ ক্যাম্পাসে ক্লাসের জায়গা আমরা ঠিক বের করে নেবো। আমার শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের এর আগে পাহাড়ে পাদদেশে কিংবা ধানক্ষেতের মাঝখানে জেগে উঠা বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বসে ক্লাসের অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য অবশ্য এটা নতুন কিছু নয় তবে দীর্ঘদিন পর সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্লাসের আনন্দ মন্দ হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাইদুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার প্রতিবাদে আগামী রোববার আমি গাছতলায় ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দিয়েছি। এই ক্লাসটি সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, করোনা কখনো যাবে না। করোনাকে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। কিন্তু সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোন কিছু করতেছে না। এক সপ্তাহ পরে, এক মাস পরে খুলবে খুলবে বলে সময় পার করছে। এভাবে চলতে থাকলে এই খাত পিছিয়ে পড়বে।

এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক গাছতলায় ক্লাস নিয়েছেন।

এমআইটি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!