চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার একটি শিপইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ লোহা লুট হয়েছে। এ সময় সিকিউরিটি ইনচার্জসহ দুজনকে কিরিচ দিয়ে আঘাত করে। আহতদের মধ্যে একজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা যায়।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে কদমরসুল আরেফিন শিপব্রেকিং ইয়ার্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। শিপইয়ার্ড থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকার স্ক্র্যাপ লোহা ও তামা-পিতল লুট করে নিয়ে গেছে তারা।
আহতরা হলে ইয়ার্ডের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (৩০) এবং রেজাউল করিমের (৪০)। আহত দুইজন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে শনিবার দুপুরে ইয়ার্ডের অন্য সিকিউরিটি ইনচার্জ মি. মাইকেল বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা চেষ্টা ও চুরির মামলা দায়ের করেন
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন স্থানীয় ফারুক (২৭), নজরুল (২৮), আলাউদ্দিন (২২), সাহাবউদ্দিন (২৬), ইলিয়াছ (২৮), ইউসুফ সওদাগর (৪৫), রণিম জলদাশ (২৪), মোজাম্মেল (৩৫) ও মঞ্জুসহ (৩২) অজ্ঞাত ১০ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টার পর কামাল উদ্দিন আহমেদের মালিকানাধীন আরেফিন এন্টার প্রাইজ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ১৫-২০ জন লোহা চোর ইঞ্জিনচালিত নৌকা যোগে হানা দেয়। তারা স্ক্র্যাপ লোহা, মূল্যবান তামা-পিতল লুট করতে শুরু করে।
ইয়ার্ডের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (৩০) এবং রেজাউল করিমের (৪০) নজরে এলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লুটেরাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। বাধার মুখে ওই চোরের দল এ সময় আরিফ ও রেজাউলকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়দের সহায়তায় পরবর্তীতে ওই দুইজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে আরিফের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানায় কর্তব্যরত চিকিৎসক।
]
আরেফিন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অভিযুক্তরা সবাই লোহা চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। কিন্তু ধরা পড়লেও তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয় না। যার ফলে তারা বারবার চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছেন তারা। চুরি করতে গিয়ে তারা খুন করতে দ্বিধা করেনা।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের আরেফিন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে চুরির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় ৯ জনসহ অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করা হয়। চোরচক্রের হামলায় এক সিকিউরিটি ইনচার্জের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে এবং অপরজন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মুআ/এসএস