গভীররাতে ফুটপাতে নবজাতক, কুড়িয়ে হাসপাতালে নিল পুলিশ

ঘঁড়ির কাঁটা তখন রাত ১টা পার। বাসার নিচে হৈচৈ দেখে নিচে নেমে ফুটপাতে এক ফুটফুটে নবজাতক দেখে ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশের সাথে কথা বলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা আল আমিন। পরে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর নবজাতকটিকে তুলে নিয়ে যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

২৩ এপ্রিল (শুক্রবার) দিবাগত রাতে নবজাতক উদ্ধারের এই ঘটনা ঘটে নগরীর জিইসি মোড়ের প্রিমিয়ার ক্যাম্পাসের পাশের ফুটপাতে।

চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ঘটনার সত্যতা স্বীকারনকরে জানান, সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়ে শিশুটির মা-বাবা কে বা কোথা থেকে এসেছে তা পরে তদন্তে জানা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে ৯৯৯— এ ফোন পেয়ে আমরা প্রিমিয়ারের সামনে এসে সদ্য নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনি। সে এখন ৩২ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা আগের থেকে মোটামোটি ভালো। আমরা তার কাপড়-চিকিৎসা ওষুধ যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করছি। আমি নিজেও এখন মেডিকেলে আছি।’ 

আইনগত বিষয়ে ওসি বলেন, ‘আমরা আগে চিন্তা করছি শিশুটির প্রাণ বাঁচানো। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ দেখাসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে তার মা-বাবাকে এবং কোথাও থেকে ফুটপাতে এসেছে তা বের করব।’ 

নবজাতক উদ্ধারে পুলিশর সাথে যোগাযোগ করা আল আমিন বলেন, ‘আমি বাচ্চাটিকে দেখে ৯৯৯—এ ফোন দিলে পুলিশ খুব দ্রুত রেসপন্স করেছে। তারা মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। ওসি সাহেবসহ আমি বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

প্রসঙ্গত, এর আগেও আকবর শাহ থানার ওসি থাকাকালীন ২০১৭ সালের চট্টগ্রাম নগরের কর্নেলহাট এলাকার একটি ডাস্টবিনে পাওয়া একটি শিশুকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেয় পুলিশ। একুশের প্রথম প্রহরের কিছুক্ষণ আগে শিশুটিকে উদ্ধার করার কারণে তার নাম রাখা হয় ‘একুশ’। উদ্ধার থেকে শুরু করে চিকিৎসাসহ সব কাজেই সামনে থেকে ছিলেন মোহাম্মদ আলমগীর। 

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!