চট্টগ্রামে রেলের জায়গা ও সড়ক দখল করে চাঁদাবাজি চলছে। এসব জায়গায় বাস ও ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। টোকেন ছাপিয়ে এসব গাড়ি থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। গাড়িপ্রতি চাঁদা নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। প্রতিদিন প্রায় ৬০-৭০টি গাড়ি থেকে এভাবে টাকা তোলা হচ্ছে। স্থানীয় যুবদল নেতার নেতৃত্বে পনেরো দিন ধরে চলছে এ চাঁদাবাজি।
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর সেগুন বাগান বাড়ি এলাকায় রেলের এবং সড়কের জায়গা দখল করে চলছে এমন চাঁদাবাজি।
অভিযক্ত ব্যক্তি হলেন ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সম্পাদক আবদুর রহমান। এছাড়া তার সঙ্গে আছেন এরশাদ ও সালাউদ্দিন নামের আরও দু’জন। তাদের হয়ে টাকা তোলার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে জামাল নামের এক ব্যক্তিকে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সেগুন বাগান বাড়ি এলাকায় রেলের একটি জায়গা দখল করে গাড়ির স্ট্যান্ড বানানো হয়েছে। সেখানে কয়েকটি পিকআপ রাখা আছে। একইসঙ্গে টিকিট প্রিন্টিং কলোনির প্রবেশমুখে রাস্তা দখল করে বাস স্ট্যান্ড বানানো হয়েছে। সেখানে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাস। এসব গাড়ির দেখভাল করছেন জামাল নামের এক ব্যক্তি।
জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট এসব জায়গা দখলে নেন আবদুর রহমান। এরপর সেখানে তিনি গাড়ির স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন। গাড়ি থেকে টাকা তোলার জন্য টোকেনও ছাপান। প্রতিটি গাড়ি থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা নেয় রহমান বাহিনী। এভাবে প্রতিদিন ৬০-৭০টি গাড়ি রাখা হয় স্ট্যান্ডে।
জায়গা দখল করে গাড়ির স্ট্যান্ড বানানোর কথা স্বীকার করেন জামাল। তিনি বলেন, দৈনিক ৬০-৭০টি বাস ও পিকআপ এখানে রাখা হয়। টোকেনের মাধ্যমে গাড়িপ্রতি ২০০ টাকা নেওয়া হয়।
যুবদল নেতা আবদুর রহমান চাঁদা তোলার জন্য তাকে নিয়োজিত করেছেন বলে জানান জামাল।
জায়গা দখল করে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রহমান বলেন, ‘আমার কর্মীরা জায়গাটি দখল করেছে। সেখানে তারা বাস রাখার কথা বললে আমি নিষেধ করিনি।’
তবে রেলের জায়গটির কোনো লিজ বা অনুমতি নেই বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগের ভূসম্পত্তি দপ্তর থেকে জানা গেছে, রেলের এ জায়গা লিজ বা ভোগ দখলের অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি।
জেএস/ডিজে