চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে টাকা পয়সা লেনদেনের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত ওই ব্যক্তিকে টানাটানি করে রিকশায় তোলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে তাকে করোনা আক্রান্ত বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। আহত ব্যক্তিকে মেডিকেলে ভর্তি করাতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হওয়ার কথাও জানিয়েছেন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২ টার দিকে চট্টগ্রামের একটি আলোচিত ফেসবুক গ্রুপে আমরাম খান আরমান নামে একজন একটা ভিডিও ও ৪টি ছবি পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যায় একজন ব্যক্তি ছটফট করতে করতে কাতরাচ্ছেন রাস্তায়। আর বেশ কয়েকজন মিলে তাকে রিকশায় তোলার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ওই লোক বারবার রিকশা থেকে নেমে যাচ্ছিলেন।
ওই পোস্টে আমরান লেখেন, ‘চট্টগ্রামের খুলশী থানার পাশে বাস্কেটের সামনে লোকটি ছটফট করছিলো। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা করোনা বলেই ধরে নিচ্ছে..’ দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তার ওই পোস্টটি। ৩৩ মিনিটে মোট ৫৭৬ জন সেটি শেয়ার হয়।
এ বিষয়ে খুলশী থানায় যোগাযোগ করা হলে জানা যায় ভিন্ন তথ্য। মূলত টাকা পয়সার লেনদেনের জের ধরেই হামলার শিকার হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। হামলাকারীদের মধ্যে মো. মোস্তাফিজ (৩৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করার কথাও নিশ্চিত করেন খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী। এদিকে প্রাথমিকভাবে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা করোনা বলে সন্দেহ করার যে তথ্য ওই স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়েছে সেটিও নাকচ করে দেন ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক আলম খান।
আলম খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘আহত ব্যক্তির নাম বাকের। তিনি মূলত হামলার শিকার। যে দুজন তাকে হামলা করেছে তাদের একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। যারা মার দিয়েছে ওদের সাথে টাকা পয়সার লেনদেন ছিল। আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। ’
হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে বিব্রতকর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে উপ পরিদর্শক আলম খান বলেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে দেখি একটা লোক নাই একটা ট্রলি নাই।
কেউ কোন কিছু করেনা। আমরা পুলিশরা মিলে ধরে নামালাম। আমরা নিয়ে যাওয়ার পরেও ডাক্তাররা অনেক দূরে দূরে। আমরা বলতেছিলাম এটা মারামারি সংক্রান্ত ঘটনা। তবু কিন্তু একটা লোকও আগাই আসে না। পরে আমি বারবার বলার পর ভর্তি নেয়া হইছে। কিন্তু আমার মনে হয় না ভাল চিকিৎসা না পেলে সুস্থ্য হবে। ’
আহত এই ব্যক্তি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরোলজি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে উপ পরিদর্শক আলম।
এআরটি/এসএস