খুলনার সামনে ওয়াটসনেও রংহীন রংপুর

ছয় ম্যাচে পাঁচ হার রংপুরের

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরতেই কেমন যেন আবারও রানখরায় বঙ্গবন্ধু বিপিএল। চট্টগ্রামে রান উৎসব দেখে আনন্দে ভেসেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রান তুলতে রীতিমতো লড়তে হলো ব্যাটসম্যানদের। এরমধ্যে সবচেয়ে হতাশ করলেন ওয়াটসন। তার ব্যাটিং দেখার প্রত্যাশায় ছিলেন অনেকেই। আগের দিনই ঢাকায় পা রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। শুক্রবার তার নেতৃত্বেই মাঠে নামে রংপুর। কিন্তু ওয়াটসনও রঙিন করতে পারলেন না রংপুরের ভাগ্য। উল্টো তিনি ১০ বলে ৫ রানে ফিরলেন সাজঘরে আর রংপুর হারলো ৫২ রানে।

চট্টগ্রামে প্রথম জয়ের দেখা মিললেও ঢাকায় সেই পুরনো চেহারায় উত্তরবঙ্গের দলটি। এবার খুলনা টাইগার্সের সামনে অসহায় তারা। যদিও এই ম্যাচ দিয়েই চলতি বিপিএল শুরু করলেন শেন ওয়াটসন। কিন্তু এই অজি তারকাও জেতাতে পারলেন না রংপুরকে।

মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৫২ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুশফিকুর রহিমের দল। এনিয়ে ৬ ম্যাচের ৫টিতেই পরাজয় দেখল রংপুর। অন্যপ্রান্তে সমান ম্যাচে চতুর্থ জয়ের দেখা পেল খুলনা।

টস হেরে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে খুলনা টাইগার্স তুলেছে ১৮২ রান। ছুটির দিনে হোম অব ক্রিকেটে মুশফিক করেন ৫৯ রান। জবাবে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রানে আটকে যায় রংপুর।

তবে সম্ভাবনা জাগিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাইম। ৯ বলে ২০ রান করে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরের শিকার তিনি। ক্যামেরন ডেলপোর্টকে (৯) ভয়ঙ্কর হতে দিলেন না শফিউল ইসলাম। রংপুরের দর্শকদের হতাশ করেন ফজলে মাহমুদও (৪)।

কিন্তু খুলনার বোলিং আক্রমণ সামাল দিয়ে লড়ে যান লুইস গ্রেগরি। কিন্তু ২৬ বলে ৩৪ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে দেন তানভীর ইসলাম। তখন রংপুরের হার সময়ের ব্যাপার মাত্র। ঠিক তাই হয়েছে। আরেকটি হার দেখেছে তারা। এরমধ্যে মুস্তাফিজ ব্যাট হাতে ১১ বলে করেন ২০ রান। ম্যাচে খুলনার মিডিয়াম পেসার শহিদুল ইসলাম ২৩ রানে নেন ৪টি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো ছিল না খুলনার। কিন্তু শেষদিকেই দৃশ্যপট পাল্টে যায় মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। ওপেনিংয়ে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরেন ১২ রানে। মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার তিনি। তারপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে দলটি। রাইলি রুশোকে কোনো রান করার সুযোগ দেননি কাটার মাস্টার। দুঃসময় কাটিয়ে পথে ফিরছেন মুস্তাফিজ।

বিপর্যয়ে শামসুর রহমান শুভও (১৩) তেমন কিছু করতে পারেননি। অন্যপ্রান্তে কিছুক্ষণ লড়ে সাজঘরের পথ ধরেন নাজমুল হাসান শান্ত। ২২ বলে ৩০ রান করে মোহাম্মদ নবির শিকার তিনি। আগের চার ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৪, ০, ১, ০! দেখে-শুনেই খেলছিলেন মুশফিকুর রহিম। তিনি নজিবুল্লাহ জারদানকে নিয়ে পাল্টে দেন ম্যাচের চেহারা। ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা।

৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত ঝড় তুলে ৪৮ বলে করেন ৫৯ রান। ইনিংসে ছিল দুই ছক্কা ও চারটি চার। জারদান ২৬ বলে ৪১। রংপুরের হয়ে বল হাতে সফল মুস্তাফিজ। তুলে নেন ২৮ রানে ৩ উইকেট। বুঝিয়ে দেন সমালোচনা যতোই হোক, তিনি এখনো ফুরিয়ে যাননি। যদিও জেতাতে পারলেন না রংপুরকে।

ksrm