অবৈধ ইট ভাটাগুলোতে মাটি আনা নেওয়া করছে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক। আবার ইট ভাটা থেকে ইট বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গন্তব্যে। এতে সড়ক থেকে উঠে গেছে পিচ। এমনকি ইটের খোয়াও অবশিষ্ট নেই। গাড়ি চলাচল দূরের কথা, সড়কটিতে হাটতে গেলেও পা মচকাবে অবস্থা। সড়ক দিয়ে শত শত ইট ও মাটি পরিবহনকারী অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক চলাচল করলেও দেখার কেউ নেই। খানাখন্দকে ভরা মৃত প্রায় সড়কটি সংস্কার হয়েছিল এক যুগ আগে।
বলছিলাম চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের মূল সড়কের কথা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলাউজান ইউনিয়নকে কেন্দ্র গড়ে উঠেছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, হেফজখানা, মসজিদ, মন্দিরসহ রয়েছে বিনোদন পার্ক।
পুটিবিলা, বাংলাবাজার, তাঁতীপাড়া, গৌড়স্থান দিয়ে যাওয়া কলাউজান সড়কটি দিয়ে আশপাশের গ্রামের ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের যাতায়াত করে। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ আগে সংস্কার হলেও এরপর থেকে আর হাত পড়েনি এই সড়কটিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের চোখ পড়েনা তাতে। তারা যেন চোখ থাকতে অন্ধ।
জানা গেছে, সম্প্রতি কাঁচা সড়কটি দিয়ে কলাউজান ইউনিয়নসহ আশপাশের একাধিক ইট ভাটার ইট, মাটি বহনকারী ট্রাক ও ডাম্পার চলাচল করে।
কয়েকজন এলাকাবাসী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের কলাউজান ইউনিয়নে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। প্রতিদিন স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের যাতায়াত এই সড়ক দিয়ে। শুকনো মৌসুমে এই কাঁচা সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিক্সা ও সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে কোনোভাবেই সম্ভব হয় না চলাচল। যার কারণে আমাদের দীর্ঘ পথ হেটে যাওয়া-আসা করতে হয়। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অনেক অভিযোগ করা হলেও তিনি এই সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেননি।’
তারা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ইউনিয়নের ইট ভাটাগুলোর ইট ও মাটি বহনকারী ট্রাক ও ডাম্পার চলাচলের কারণে সড়কটি দিয়ে গাড়ি চলা দূরের কথা মানুষ হাঁটার অবস্থাও নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগ নিলে হাজার হাজার গ্রামবাসী এই কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে।’
কলাউজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল ওয়াহেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত দুই বছর আগেও সড়কটি কার্পেটিং করা হয়েছিল। কিছু দিন ধরে ইট ভাটার ট্রাক ও ডাম্পার যাতায়াতের কারণে সড়কটি নষ্ট হয়ে গেছে। সড়কটি আবার সংস্কারের জন্য এমপি মহোদয়কে জানিয়েছি। আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব ইট ভাটার মালিকদের একটা সিন্ডিকেট আছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললে হুমকি আর মামলা দেয়। তাদের প্রভাবে কিছু বলা যায় না। আমরা দূর্বল। তারা সিন্ডিকেটের প্রভাবে যা ইচ্ছা করে যাচ্ছে।’
এমএফও