খাগড়াছড়ির পানছড়িতে তিন ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত তিন ইউপিডিএফ কর্মী হলেন—সিজন চাকমা, শাসন ত্রিপুরা ও জয়েন চাকমা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জন পাড়ায় এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।
এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
বুধবার ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেন, বুধবার সকাল ১০টার দিকে হাসিনার আমলে সৃষ্ট সেনা মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনীর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী শান্তি রঞ্জনপাড়ায় ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে ইউপিডিএফের তিন জন কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত হন।
বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের এখনো হাসিনা সরকারের নিয়োজিত সেনা কর্মকর্তারা মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর মদদে সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী হত্যায় মেতে উঠেছে। এর আগে গত বছর এই সন্ত্রাসীরা পানছড়ির পুজগাঙে বিপুল চাকমাসহ চার জনকে হত্যা করলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বিবৃতিতে অংগ্য মারমা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে হাসিনার আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একইভাবে প্রত্যাহার করা হয়নি হাসিনার আমলে খুন-গুমে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদেরও। ফলে তারা আবারও একই খুনের নেশায় মেতে উঠেছে।
বিবৃতিতে অবিলম্বে পানছড়িতে তিন ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, হাসিনার আমলে নিয়োজিত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
অংগ্য মারমা বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলায় ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে জেলার সকল যানবাহন মালিক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিজে