পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
নিহত শিক্ষকের নাম আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সোহেল রানা প্রতিষ্ঠানটির বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। সে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগও করেন তিনি। এরপর কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে তিনি আবারও ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। মঙ্গলবার সোহেল রানার বিরুদ্ধে আবারও এক শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনার পর স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে সোহেল রানাকে অধ্যক্ষের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে ১০–১৫ জন পাহাড়ি তরুণ সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। এ সময় তাকে পুলিশসহ কয়েকজন রক্ষা করতে গেলেও ব্যর্থ হন।
পরে পুলিশ সোহেল রানাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হাসপাতালে আনার আগেই সোহেল রানার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একজন শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এরপর দুপুর ৩টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর পাহাড়ি ও বাঙালিরা আলাদা মিছিল বের করে। এরপর খাগড়াছড়ি সদরে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই পক্ষ। এ সময় সদরের মহাজনপাড়ার কয়েকটি দোকানও ভাঙচুর করা হয়, আগুন দেওয়া হয় একটি বাড়িতে।