বার্থ অপারেটরের কাজে নিয়োজিত ক্রেন চালক হোসেন আহমদের (৬৫) মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকে চট্টগ্রাম বন্দরে। বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাসের সময় ক্রেন অপারেটরের (উইন্সম্যান) মৃত্যুর ঘটনায় বন্দরের মূল জেটির জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি) ও বহির্নোঙরে অর্ধশতাধিক জাহাজে ৪ ঘণ্টা কাজ বন্ধ ছিল।
ওই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার জের ধরে শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এসময় বার্থ অপারেটরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য (এডমিন এন্ড প্ল্যানিং) জাফর আলমের মধ্যস্থতায় শেষ হয় শ্রমিকদের বিক্ষোভ।
এ ব্যাপারে জাফর আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শ্রমিকদের সাথে বৈঠক হয়েছে। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বার্থ অপারেটরের কাজের সময় ক্রেন চালক হোসেন আহমদ মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের ধারণা, সে স্টোক করে মারা গেছে। কিন্তু শ্রমিকরা এটিকে দুর্ঘটনা দাবি করে বিক্ষোভ করে।
বন্দরের কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মুনছুর আহমেদ বলেন, নিহত শ্রমিক বন্দরের কর্মচারী নয়। তিনি বার্থ অপারেটারে অধিনে কাজ করেন। তাদেরও আলাদা সংগঠন আছে। ওই শ্রমিকের মৃত্যুতে আর্থিক ক্ষতির লেনদেন দফারফা করার বিষয়ে বিক্ষোভ করেছিল ওই সংগঠনের শ্রমিকরা। এরপর বন্দর ভবনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে উইন্সম্যান শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে দাবি মানার আশ্বাসে দুপুর ১২টার পর থেকে কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকেরা।
এএস/এসএ