ক্রেতা সেজে বিভিন্ন শপিং মলে ও দোকানে প্রবেশ করে একেকজন একেক ধরনের পণ্য দেখাতে বলে দোকানিকে ব্যস্ত রাখতেন তারা। দোকানির মনোযোগ অন্যদিকে সরে গেলে তারা কৌশলে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন চুরির করে ঘটনাস্থল হতে সটকে পড়ত তারা। এভাবে ওই চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবত বাকলিয়াসহ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ৫০০ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বাকলিয়ার থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিনব কায়দায় এ সব চুরির ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের দলনেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং চোরাইকৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দলনেতা মো. জসিম (৪৪), তার সহকারী মো. নাঈম উদ্দিন রিয়াজ (১৯) ও মো. জয়নাল (২৬)।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন এর আগে বাকলিয়া থানা এলাকাসহ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে, শপিং মলে ও দোকানে এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে মোট ৫০০ চুরির ঘটনা সংঘটিত করে। সর্বশেষ চোর চক্রের দলনেতা জসিমসহ তিনজন। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নয়টায় বাকলিয়া থানাধীন মিয়াখান নগর মিয়াখান সওদাগরের পুল সংলগ্ন মনিহার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করে। একই কায়দায় দোকানিকে ব্যস্ত রেখে তিন চোরের মধ্যে একজন চোর কৌশলে ক্যাশ বাক্স হতে স্যামসাং প্রো-২৫ মডেলের মোবাইল ফোনটি চুরি করে পকেটে নিয়ে সবাই দ্রুত দোকান থেকে সটকে পড়ে। পরে সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুুটেজ পর্যালোচনা করে চোরদের শনাক্ত করা হয়। ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বাকলিয়া থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং চুরি হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ক্রেতা সেজে দোকানিকে ব্যস্ত রেখে চুরি করতেন তারা।’
এমএ/এসএস