ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিতণ্ডার জেরে পটিয়ায় গৃহবধূ খুন

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছেলেদের ক্রিকেট খেলায় বাকবিতণ্ডার জেরে শিউলি বেগম নামে এক গৃহবধূকে ছুরি মেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ গাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিউলি বেগম (৩৭) সিরাজ গাজীর বাড়ির মো. মুসার স্ত্রী।

পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জঙলখাইন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ মিয়ার বাড়িতে রান্না ঘরের ধোয়া নির্গত হওয়ার পাইপ ভাঙ্গলে শিউলী বেগমের বাচ্চার মাথায় প্রতিবেশী বাচা মিয়ার ছেলের ঢিল মারার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত শিউলী বেগমের ছেলে আহত হয়। ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে প্রতিবেশী বাচা মিয়ার ছেলে আলভি (১৭) ছুরি মারলে শিউলী বেগম গুরুতর আহত হয়।

এসময় নিহতের স্বামী মুছা মিয়া তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে নিহতের ছেলে মো. হামীম বলেন, শনিবার সকালে তার ছোট ভাই প্রতিবেশী আলভীসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জায়গায় ক্রিকেট খেলতে যায়। খেলাতে বাকবিতণ্ডার জেরে আলভী আমার ভাইকে মারধর করে। বিকালে বাড়িতে একাধিকবার গিয়ে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। এসময় আমার মা তাকে ঝগড়া না করে চলে যেতে বলেন। কিন্তু আলভি চলে না গিয়ে ঝগড়া করতে থাকে। এক পর্যায়ে আলভির পরিবারের লোকজন এসে আমার মাকে মারধর করতে থাকে। ঘটনার এক পর্যায়ে আলভির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আমার মাকে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাওরিন বলেন, শনিবার সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ছুরিকাহত এক নারীকে নিয়ে আসলে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পাই। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালে আনার পথেই এ নারীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম। ঘটনার পর ঘাতক আলভী ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়েছে গেছে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। এ ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। খুনি যুবক পালিয়ে গেছে।

ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, রাতে পটিয়া হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm