কোরবানি ঈদ/ সুযোগ বুঝে বেড়ে গেছে মসলার দাম
চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। বুধবার (৭ আগস্ট) কাজীর দেউড়ি বাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব মসলার দামই বেড়ে গেছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজার
রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকৃত চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে (প্রতি কেজি) ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়, আগে এর দাম ছিল ১২০ টাকা। প্রতি কেজি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম ২৮ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৩৫ টাকা। আমদানিকৃত চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়, যা আগে ছিল ১২০ টাকা কেজি। এছাড়া গোলমরিচ, হলুদ, মরিচের গুঁড়া, জয়ত্রী, এলাচ, দারুচিনির দামও বেড়েছে।
বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৮০০ টাকায়, এটি এর আগে ছিল ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। জয়ত্রী প্রতি কেজি ২৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০০ টাকা। লবঙ্গ ১০০০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০০ টাকা। গোলমরিচ ১০০ গ্রাম ৫০ টাকা, দারুচিনি ৩৯০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৪০ টাকা। রূপচাঁদা তেল ৪৯০ টাকা, যা আগে ছিল ৪৬৫ টাকা। ইন্ডিয়ান মরিচ কেজি প্রতি ১৭৫ টাকা, যা আগে ছিল যা ১৫৫ টাকা। হাটহাজারীর মরিচ ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। নারিকেল জোড়াপ্রতি ৫০টাকা থেকে বেড়ে এখন ৬০ টাকা। ধনে এখন ৯০ টাকা, আগে ছিল ৭৫ টাকা। এছাড়া চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, চিনি ও লবণের দাম আগের চেয়ে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাস উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, কোরবানি উপলক্ষে সকল ধরনের মসলার দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। কারণ কোরবানি ঈদে মসলার চাহিদা থাকে। সব জায়গায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই আমরাও সেই দামে বিক্রি করছি।
কাজীর দেউড়ি বাজার
কাজীর দেউড়ি বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ইণ্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। দেশি রসুন ১৮০ থেকে বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা আগে ছিল ১২০ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। এটি আগে ছিল ১১০ টাকা। প্রতি কেজি এলাচের দাম ২২০০ টাকা থেকে ২৬০০ টাকা। এটি আগে ছিল ১২০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা। গোলমরিচ কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা। জয়ত্রী এখন ২৮০০ টাকা, আগে এর দাম ২০০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে ছিল। রূপচাঁদা তেল ৫০০ টাকা, আগে ছিল ৪৭০টাকা। ইন্ডিয়ান মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে বেড়ে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি হাটহাজারী মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আগে এটি ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতো। হলুদের দাম ১১০ থেকে বেড়ে এখন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এলাচ কেজিপ্রতি ২২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১৯০০ টাকা। নারিকেল জোড়াপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা।
সাইফ আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, কোরবানির সময় আমাদের সব ধরনের মসলা কিনতে হয়। দাম বাড়ার কারণে চাহিদামতো কিনতে পারছি না। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে ফেলছে। আর সেই দামে কিনতে হচ্ছে আমাদের।
কাজীর দেউড়ি বাজারের ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াস চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, প্রতি বছরই কোরবানি ঈদের আগে মসলার দাম বেড়ে যায়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।