কেন্দ্রীয় নেতারা আসার আগেই সংঘর্ষে জড়ালো চবি ছাত্রলীগ, ক্যাম্পাসে হঠাৎ উত্তেজনা

সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো আগামীকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আসছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিনিধি দল। কিন্তু প্রতিনিধি দল আসার আগেই সংঘর্ষে জড়িয়েছে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও বিজয় গ্রুপের কর্মীরা। এতে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী আহত হয়েছেন।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসের সামনে কথা-কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা।

সিক্সটি নাইন গ্রুপের আহত।কর্মীর নাম বিশ্বজিৎ বৌদ্ধনীল। তিনি সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‘এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় অকারণে ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল মাহমুদ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মো. রিফাত, শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মিনহাজ, ইংরেজি বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মো. বেলাল, একই শিক্ষাবর্ষের জিবু সহ অজ্ঞাত আরও ৫ জন এলোপাথাড়ি মারধর করেন বিশ্বজিৎ বৌদ্ধনীলকে।’

ঘটনার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, সাংগঠনিক সফরে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের ক্যাম্পাসে আসার কথা রয়েছে। ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধর করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে এ ঘটনার পর উভয় গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারীরা শাহজালাল হল ও বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করছে।

বিজয় গ্রুপের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক সফরে আসার কথা রয়েছে। এই সফরকে বানচাল করার জন্য সিক্সটি নাইন গ্রুপ উসকানি দিচ্ছে, যাতে তারা আসতে না পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সবকিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!