কেডিএসের বিজ্ঞাপনে ঢেকে গেল আইয়ুব বাচ্চুর ‘রূপালী গিটার’

‘এই রূপালী গিটার ফেলে একদিন চলে যাব দুরে, বহুদূরে’— গানের কথার মতোই সেই রূপালী গিটার ছেড়ে চট্টগ্রামের ছেলে সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু সত্যি সত্যিই চলে গেছেন বহুদূরে। কিন্তু ভক্তদের মাঝে রূপালী গিটারের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগ্রুপ কেডিএসের অর্থায়নে স্থাপন করা হয়েছিল রূপালী গিটার। গিটারের সামনে বড় করে কেডিএস লিখে তাদের ব্র্যান্ডিংও করা হয়েছে। তবুও সেই কেডিএসের প্রচারবোর্ডের আড়ালে হারিয়ে গেল সেই রূপালী গিটারই।

গিটারটি স্থাপন করা হয়েছিল গোলপাহাড়মুখী করে। গোলপাহাড়ের দিক থেকে প্রবর্তক আসলে দৃষ্টিনন্দন গিটারের সামনের অংশ দৃশ্যমান হয়। পাঁচলাইশ থানার মোড় থেকে আসলে গিটারের পিছনের অংশ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল ও ২ নম্বর গেইটের দিক থেকে আসলে দুই পাশ দেখা যায়।

বুধবার (১ জুলাই) সূর্যাস্তের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে সন্ধ্যা ৬টায় প্রবর্তক মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, চার পাশে পাঁচ ফুটের বেশি উঁচু চারটি প্রচার বোর্ড স্থাপন করেছে কেডিএস গ্রুপ। চারপাশ থেকে গিটারের শুধুমাত্র মাথার অংশটুুকুই দেখা যায়। গিটার দেখতে হলে কৌণিক স্থান থেকে কেডিএসের প্রচারবোর্ডের ফাঁক গলে দেখতে হয়। কেডিএসের প্রচারবোর্ডের সাথে যুক্ত হয়েছে আবার রোটারী ক্লাবের চারটি বোর্ডও। এতে গিটার স্থাপনের মূল উদ্দেশ্যই ম্লান হয়েছে বলে মনে করছেন আইয়ুব বাচ্চুর ভক্তরা।

প্রসঙ্গত, কেডিএস গ্রুপ রূপালী গিটার স্থাপন, সড়কের বিউটিফিকেশন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, দেয়ালে ম্যুরাল ও সবুজায়ন প্রকল্পে ব্যয় করেছে ৩ কোটি টাকা। আর তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জনপ্রিয় শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি রক্ষায় আমাদের এই প্রকল্প। তা কোন প্রচারবোর্ড বা অন্য কোনভাবে অযত্ন-অবহেলার সুযোগ নেই। আমরা শিগগিরই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!