কেডিএসকর্মীর ‘ঘাতকের’ জীবন শেষ কথিত বন্দুকযুদ্ধে
চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের কারখানার নির্মাণশ্রমিক বাচ্চু হাওলাদার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত মো. আইয়ুব পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
নিহত মো. আইয়ুব (২৬) হাটহাজারীর কুয়াইশ এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নগরীর চান্দগাঁও এবং জেলার হাটহাজারী থানায় ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটায় নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বাহির সিগনালের বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম দাবি করেছেন, ‘থানার বড়ুয়া পাড়ায় কিছু ছিনতাইকারী অবস্থান করছে শুনে আমরা ফোর্স পাঠাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। গোলাগুলি বন্ধ হলে ঘটনাস্থল থেকে আইয়ুবকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
উল্লেখ্য, ২৫ সেপ্টেম্বর কালুরঘাট বিসিক এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে বাচ্চু হাওলাদার আহত হন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার ভাই বাদি হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। ছুরিকাঘাতের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে এক আসামিকে আটক করে পুলিশ। আটক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার জবানিতে নিহত আইয়ুবের নাম উঠে আসে।
ওসি আবুল কালাম আরো বলেন, ‘সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজে আইয়ুবসহ আরো চারজনকে আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের দুজন আটক আছে। বাকিদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।’
এফএম/এসএস