চট্টগ্রাম নগরীতে শ্রীলঙ্কান এক নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নগরীর খুলশী এলাকায় বসবাসকারী ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
বুধবার (৬ মে) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শ্রীলঙ্কান ওই নাগরিক ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে স্ব-উদ্যোগে নমুনা দিয়ে এসেছিলেন এবং তিনি নিজ দায়িত্বেই খুলশীর বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, বিদেশি ওই নাগরিক বাসায় আইসোলেশনে থাকবেন। আমরা ওই বাড়িটি লকডাউন করেছি। খুলশীর ৫ তলা ওই বাড়িতে ১০টি পরিবার বসবাস করে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সিভাসুর ল্যাবে করা ১২২টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানানো হয়েছে। তার মধ্যে শ্রীলঙ্কান এই নাগরিকসহ ২২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে আছেন পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারসহ ২ পুলিশ ও ৩ কোস্টগার্ড সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলার ১৪ জন। বাকিদের মধ্যে ৪ জন রাঙামাটির ও নোয়াখালীর আছে ২জন এবং লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর ১জন করে রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার ১৪ জনের মধ্যে একজন পুরাতন রোগী। বাকিদের মধ্যে বাশঁখালী উপজেলার ২জন, সাতকানিয়া, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ের ১জন করে রয়েছে। হাটহাজারীতে এই প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলো। এছাড়া বিআইটিআইডি ও ফিল্ড হাসপাতালের ১জন করে রয়েছেন বলে জানান সিভিল সেখ সার্জন ফজলে রাব্বি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ১২৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও রাজবাড়ীতে করোনা শনাক্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ ব্যক্তিও এই তালিকায় রয়েছেন।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে ১ শিশু, ৪ পুরুষ ও ২ নারীসহ মোট ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে ১৪৯ জন রোগী আইসোলেশনে আছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ১ হাজার ৪০৩ জন।
এসএস