কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙার পর অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর

পাহাড় কেটে ঘর তৈরি করে সে ঘর ভাড়ায় দিয়ে দেওয়ার পর ঘুম ভাঙে পরিবেশ অধিদপ্তরের। আবার কেউ অভিযোগ না দিলেও নিজেদের উদ্যোগে কোনো অভিযানে যেতে পারেন না তারা। ফলে চট্টগ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ‘থোড়াই কেয়ার’ করে চলছে অবাধে পাহাড় কাটা।

পরিবেশ অধিদপ্তর নামকাওয়াস্তে অভিযানে নামলেও তা কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙার পর। রোববারও (২৮ নভেম্বর) নগরের পশ্চিম ষোলশহর এলাকার ভেড়াফকির পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের দায়ে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে সরকারি এ দপ্তরটি। কিন্তু জরিমানা করার ৩ বছর আগে থেকেই পাহাড় কেটে সাবাড় করে ফেলেছে পাহাড়খেকোরা।

ভেড়াফকির পাহাড় কটে স্থাপনা তৈরি হওয়ার পর অভিযান প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর, ‘চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমরা অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়ার পরই অভিযানে নামি। আমাদের আসলে প্রমাণ পেতেই দেরি হয়ে গেল। তাই অভিযানে যেতেও দেরি হয়েছে।’

জানা যায়, বছর তিনেক ধরে চলছিল ভেড়াফকির পাহাড় কাটা। বায়েজিদ থানাধীন পশ্চিম ষোলশহর এলাকায় এ পাহাড় কেটে স্থাপনা তৈরি করে আসছিল প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি। পাহাড় কেটে সমতল ভূমি করার পর সেইসব ব্যক্তিরা আবার সেটি বিক্রি করেছেন অন্যজনের কাছে। তোলা হয়েছে সেমিপাকা ঘর।

আর এসব স্থাপনা তৈরির পর পরিবেশ অধিদপ্তর জানতে পারলেন ভেড়াফকির পাহাড় কাটা হয়েছে। চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা ও পরিবেশ দূষণের দায়ে ১০ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়েছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) নগরীর খুলশী থানার পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে এক শুনানিতে এ জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মহানগর সূত্রে জানা যায়, ২৪ নভেম্বর বায়েজিদ থানার পশ্চিম ষোলশহর মৌজার ভেড়াফকির পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার প্রমাণ পায়। তারা জানতে পারে, ৯ জন ব্যক্তি পাহাড় কেটে সমতল করে সেটি আবার বিক্রি করে দিয়েছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

শুনানিকালে ৯ জনকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দায়ের করা হয়। বাকি ৩২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দায়ের করা হয় অপরিশোধিত তরল বর্জ্য দ্বারা পরিবেশ দূষণ করায় বিডি সী ফুডের ম্যানেজার ফারুক উদ্দিনকে।

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!