কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে পঁচা-বাসি খাবার, ১ বছরে ৫ বার জরিমানা গুণেও শোধরায় না

চট্টগ্রাম নগরীর রেস্টুরেন্ট কুটুমবাড়িকে আবারও গুণতে হল জরিমানা। এবার সংখ্যাটি ১ লাখ টাকা। তবে বারবার অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের দায়ে জরিমানা গুণলেও শোধরানোর নাম নেই এই রেস্টুরেন্টটি। শুধুমাত্র চলতি বছরেই একাধিকবার জরিমানা গুণতে হয়েছে রেস্টুরেন্টটিকে।

মাত্র দুই মাস আগে গত ৯ জুলাই নগরীর দামপাড়া ওয়াসার মোড়ে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁর এই শাখায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে কর্মচারী কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মুখে মাস্ক, হাতে হ্যান্ডগ্লাভস কিছুই নেই। ফ্রিজে মাছ, মাংসের সঙ্গে অপরিচ্ছন্ন উপায়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে ময়দার খামির ও অন্যান্য মশলা জাতীয় দ্রব্যাদি রাখছেন। এছাড়াও নিজস্ব উৎপাদিত ফিরনিতেও নেই উৎপাদন মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ। এই সকল অপরাধে কুটুমবাড়ী রেস্তোরা ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়।

এর আগে ৮ এপ্রিলও লকডাউন না মেনে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখায় নগরীর ওয়াসা মোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আগ্রাবাদ সার্কেলের এসিল্যান্ড আল আমিন সরকারের নেতৃত্বে কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টের ওয়াসার মোড় শাখায় এ অভিযান পরিচালিত হল।

দামি ও নানা স্বাদের খাবারের প্রলোভন দেখানো হলেও কুটুমবাড়ির ভেতরের গল্প প্রতারণার। নোংরা পরিবেশে ক্ষতিকর রং মেশানো ও পঁচা-বাসি খাবারকে তেলে ভেজে খাওয়ানো হচ্ছে ক্রেতাকে। পঁচা-বাসি খাবার বিক্রির জন্য একাধিকবার জরিমানা গুণেছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তাতেও শোধরানোর নাম নেই। এবার আরও একবার নোংরা পরিবেশে ক্ষতিকর রং মেশানো ছাড়াও পঁচা-বাসি খাবার বিক্রির দায়ে গুণতে হল ১ লাখ টাকা জরিমানা।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন সরকার বলেন, আভিজাত্যের আড়ালে পঁচা-বাসি খাবার বিক্রি করা হচ্ছিল কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে। ওপরে ফিটপাট ভেতরে সদরঘাট।

গত ১০ এপ্রিল লকডাউন না মেনে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখায় জরিমানা করা হয় কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টের চকবাজার শাখাকে। তারও আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার মোড়ে অবস্থিত কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টকে তেলাপোকা আর ময়লা-আবর্জনাপূর্ণ স্থানে খাবার তৈরি ও সংরক্ষণ, কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখা, রং দেওয়া করমচাকে চেরি হিসেবে ব্যবহার এবং ময়লাযুক্ত ফিরনি বিক্রির রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) নোংরা পরিবেশে তৈরি পচাবাসি খাবার বিক্রির দায়ে ৬টি প্রতিষ্ঠানে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। পঁচা-বাসি খাবার বিক্রির দায়ে হালিশহরের গাউসিয়া সুইটসকে ৫০ হাজার টাকা, খুলশী এলাকার একটি বেকারিকে ২৫ হাজার টাকা, অলংকার মোড়ের আলিফ রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার আগ্রাবাদ এলাকার সিজল কারখানা ১০ হাজার, ওরিয়েন্ট ১০ হাজার টাকা সহ মোট ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!