কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডব—চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা লুটপাট

চট্টগ্রামের পটিয়ার কৈয়গ্রামে চাঁদা না দেয়ায় একটি কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে দিনে-দুপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে ৯ জনকে অভিযুক্ত করে পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শুক্রবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকায় হামলা ও লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলো- মোহাম্মদ ইলিয়াছ ওরফে সাদ্দাম (২৮), মোহাম্মদ আজিজ প্রকাশ ল্যাঙ্গা আজিজ (৩২), নাঈম (২৮), রহমান (২৯), দাউদুজ্জামান লিটন (৩৩), আলী হোসেন (২৮), মোহাম্মদ ফিরোজ (৩২) ও মোহাম্মদ আলমগীর (৩২)। অভিযোগে অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৈয়গ্রাম এলাকার হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় তিনটি বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শোরুম নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিছুদিন ধরে কর্ণফুলী উপজেলার কিশোর গ্যাং লিডার ইলিয়াছ ওরফে সাদ্দাম ও আজিজ ওরফে ল্যাঙ্গা আজিজ ব্যবসায়ী হাবিবের নিকট চাঁদা দাবি করে। এতে তিনি অসম্মতি জানালে একদিন আগে ইলিয়াছ ও আজিজ তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরপর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি তার বসতঘরে থাকাবস্থায় বাইরে থেকে ককটেলের বিকট আওয়াজ শুনেন। এসময় তিনি ঘরের বাইরে বের হয়ে দেখতে পান সস্ত্রবস্থায় ১০ জন যুবক তার বাড়ির আঙ্গিনায় অবস্থান করছে। যুবকগুলো ব্যবসায়ী হাবিবকে খুজঁতে থাকে। তাদেরকে বলতে শোনা যায় ‘হাবিব কোথায়’। এরপরে হাবিবকে খোঁজে না পেয়ে যুবকগুলো তার বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় তার শয়নকক্ষে ঢুকে আলমিরা ভেঙ্গে ব্যবসায়িক নগদ ২ লাখ টাকা ও তার স্ত্রীর ৭ ভরি স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়। পরে যুবকগুলো দলবেঁধে চলে যাওয়ার সময় সমস্বরে বলতে থাকে ‘হাবিবকে পেলে মেরে গুম করে ফেলব।’

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, ইলিয়াছ ও আজিজ দীর্ঘদিন ধরে আমার নিকট চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমার ঘরে এসে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।’

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ব্যবসায়ীর ঘরে ঢুকে ভাংচুর চালিয়ে নগদ টকাসহ স্বর্ণালংকার লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm