কিশোরী গৃহবধূর আত্মহত্যা, ‘পরিকল্পিত হত্যা’—দাবি মেয়ের বাবার

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছেন। তবে নিহতের বাবার দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

শুক্রবার (৪ জুন) রাত ১০টার দিকে পালংখালী বাজার এলাকায় ইউপি মেম্বার নুরুল হকের ছোট ভাই জিয়াবুল হক এর বাড়িতে ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার পালংখালী বাজার এলাকার মৃত নাজির আহমদের ছেলে জিয়াবুল হক এর স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার (১৭) বাড়িতে কেউ না থাকা অবস্থায় ফ্যানে উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গয়ালমারা মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার বছর পূর্বে পালংখালী মোছারখোলা এলাকার নুরুল আলমের অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু কন্যা ইয়াছমিন আক্তারের সাথে পালংখালী বাজার এলাকার মৃত নাজির আহমদের ছেলে জিয়াবুল হকের বিয়ে হয়। তখন মেয়ের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। তখন থেকে তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ লেগে ছিলো প্রতিনিয়ত।

এ পর্যন্ত তাদের সংসারে সন্তান না হওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহ আরও বেড়ে যায়। একপর্যায়ে স্বামী জিয়াবুল হক আরেকটি বিয়ে করার জন্য তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।

স্বামী রোহিঙ্গা নারী বিয়ে করবে জানালে ইয়াছমিন আত্নহত্যা করেছে –এমনটা মনে করছেন এলাকাবাসী। নিহতের পিতা নুরুল আলম রাতে গয়ালমারা হাসপাতালে তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে পালংখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হক তড়িগড়ি করে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য কোর্ট থেকে অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন জানান, রাত ৩ টার দিকে পুলিশ গয়ালমারা হাসপাতাল থেকে লাশ উখিয়া থানায় নিয়ে গিয়েছে।

উখিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পরিদর্শক মো. সালমান লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা ময়না তদন্ত শেষে বলা যাবে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!