ধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকার সাভারে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় এই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরী।
সোহেল রানা সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। মামলা দায়েরের পর তিন দিন আগে তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করা হয়। এরপরই আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এরপর প্রভাবশালী নেতাদের মাধ্যমে ওই কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র্যাবের একটি দল চট্টগ্রাম থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীর মিরপুরে র্যাব-৪ এর কার্যালয়ে নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সোহেল।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘র্যাব ধর্ষণ মামলার আসামি সোহেল রানাকে থানায় হস্তান্তর করেছে। সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাঁকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
মামলার বাদী ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানার পক্ষ থেকে তাঁদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছিল। এ ছাড়া প্রভাবশালীরা মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপোষ-মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
আরএম/এমএফও