চিটাগাং কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টদের শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব দেয়া একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। ফলে আমদানি-রফতানির শুল্কায়ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
কর্মবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংগঠনের নেতা কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রামের আমদানিকারকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ, হয়রানি, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও তাদের কর্মচারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার সহ ৬ দফা দাবিতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও তাদের কর্মচারীরা কাস্টম হাউস প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা মিলে প্রায় এক হাজার লোক এতে অংশ নিয়েছে। কেউ কাজে যায়নি।
প্রসঙ্গত, বিদেশে অর্থপাচার বা মানিলন্ডারিংয়ে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রামের কাস্টমস কমিশনার। বিষয়টি জানতে পেরে সম্ভাব্য ব্যবস্থা ঠেকাতে কর্মবিরতি শুরু ঘোষণা দেয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয় এনবিআরে। এতে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিকারক ও এদের সাথে যোগসাজসে পণ্যের চালান খালাসে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন ১৯৬৯ প্রয়োগ করে লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আইনি বাধ্য-বাধকতা, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি বন্ধ ও সিঅ্যান্ডএফ নেতাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি। এতে জড়িতদের লাইসেন্স বাতিল হবে। এ জন্য তারা আন্দোলন করছে।
অপরদিকে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের লাইসেন্স বাতিল হলে আমরা কাজ করবো কেন?
এএস/এসএইচ