চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বুধবারের কালবৈশাখীর তাণ্ডবের পর ৪৮ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎহীন ৫ শতাধিক পরিবার। এ দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
২০ এপ্রিল (বুধবার) সকালে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিদ্যুৎ লাইনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন উপজেলার বেশ কিছু এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার।
মিরসরাই উপজেলার কচুয়া গ্রাম, ভূঁইয়া তালুক (পশ্চিমাংশ), দরগাহপাড়া, উকিলটোলা, শেখটোলা, সাদুরবাজার, ভোরবাজার, বানাতলী সহ বেশ কিছু অঞ্চলের ৫ শতাধিক পরিবার এ দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন।
বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে থাকলেও লাইন সংস্কারের কোন খবর নেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের— এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। গ্রাহকের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুতের নম্বরে ঢুকছে না কল।
উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের উকিলটোলা গ্রামের শিক্ষক মামুন অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ির পাশে গাছ ভেঙে লাইনে পড়ে আছে। বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ নম্বরটা ব্যস্ত পাওয়া যায়। আমি প্রায় ২০০বার কল দিয়ে ১ বার কথা বলতে পেরেছি। অভিযোগ দিলে তারা জানায় লাইন সংস্কারে লোক পাঠাবে। কিন্তু সংস্কার হয়নি।
তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে তারাবি নামাজের সময় চরম গরমে আমাদের নাজুক অবস্থা। মানুষজন গরমে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছেনা।
কচুয়া এলাকার এক ব্যবসায়ী রহিম জানায়, এত দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছি। ফ্রিজের সব জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। বিদ্যুতের এ বিভ্রাটে আমার মতো আরো অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের কবলে পড়েছে। রমজানে বেচাবিক্রি হয় সন্ধ্যার পর। কিন্তু অন্ধকারে তো দোকান করা সম্ভব না। কেরোসিন বাতিতে কোনমতে দোকান চালাচ্ছি।
শিক্ষার্থী আরাফাত রাজু বলেন, আমরা রাতে পড়াশোনা করতে পারছি না। গরমে অস্থির লাগছে।
ওহিদুল নবী নামের এক তরুণ বলেন, গতকাল থেকে মোবাইল বন্ধ। কোন খবরাখবর পাচ্ছি না দেশ-দুনিয়ার। যোগাযোগ করতে পারছি না কারও সাথে। মনে হচ্ছে যেন আদিম যুগে বসবাস করছি।
এই বিষয়ে জানতে মিরসরাই পল্লী বিদ্যুৎ-৩ এর ডিজিএম সাইফুল আহমেদের মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সিপি