দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এডভোকেট কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দুদক মামলা দায়ের করার পর ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে।
২৫ নভেম্বর ২০১৯ দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদি হয়ে ক্ষমতা অপব্যবহার ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে ভারি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার দায়ে চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জনসহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে মামলাটি রেকর্ড করেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন।
মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আবদুর রউফ। তিনি সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র। জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো ও সার্জারি) মো. মইনুদ্দিন মজুমদার। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের সোনাপুর গ্রামের আবদুল মালেক মজুমদারের পুত্র। সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজয় কুমার নাথ। তিনি চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ঘাটফরহারদবেগ আ/এ ৩৫৮/৩৭৭ আনন্দধারা যতীন কুঠির ভবনে মৃত হরিনাথের পুত্র। বেঙ্গল সাইন্টিফিক এন্ড সার্জিকেল কোম্পানির প্রোপ্রাইটর জাহের উদ্দিন সরকার। তিনি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়া থানার উত্তর সুজাপুর গ্রামের আবদুস সাত্তার সরকারের পুত্র। মেসার্স আহমদ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মুন্সি ফারুক হোসেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার কাশিয়ানির গ্রামের মৃত মুন্সি আহমদ হোসেনের পুত্র। এএসএলের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদ। তিনি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার চতুল গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব মোল্ল্যার পুত্র। এদের মধ্যে মুন্সি ফারুক হোসেন চট্টগ্রামের বাইরে আরেকটি মামলায় আটক হয়ে কারাগারে আছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে পরস্পর যোগসাজশে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে মেসার্স ওয়ার্সি সার্জিক্যাল, জেনেটিক ট্রেডিং ও রেলায়েন্স সলিউশন লিমিটেডের ভুয়া প্যাড ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে বাজার ধরে অধিক মূল্য এমএসআর (ভারি যন্ত্রপাতি) সরবরাহ করে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধে দন্ডবিধি ৪০৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারায় ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
এফএম/সিপি