কাগজপত্রে কাঁচা তুলা, ভেতরে ৪২ হাজার কেজি সোফার কাপড়

দেড় কোটি টাকার রাজস্ব মেরে দেওয়ার অপচেষ্টা

কাঁচা তুলা আনা হচ্ছে— এমন ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সোফার কাপড় আমদানি করেছে চট্টগ্রাম নগরের জুবিলী রোডের একটি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে এক কোটি ৪০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘোষণা দেওয়া কাঁচা তুলা আমদানিতে শুল্ক নেওয়া হয় না। প্রতিষ্ঠানটি এরই সুযোগ নিতে চেয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বন্দরের এছাক ডিপোতে কর্মরত কাস্টমস কর্মকর্তাদের তৎপরতায় আটক করা হয় এই চালান।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের জুবিলী রোডের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইএন এন্টারপ্রাইজ চীন থেকে ৪০ ফুটের দুই কনটেইনারে ৪১ হাজার ৫০০ কেজি ওজনের কাঁচা তুলা আমদানি করার ঘোষণা দেয়। গত ৪ জানুয়ারি আমদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি (সি নং ১৫০২০) দাখিল করে।

কাগজপত্রে কাঁচা তুলা, ভেতরে ৪২ হাজার কেজি সোফার কাপড় 1

সিএন্ডএফ এজেন্ট কাঁচা তুলা ঘোষণা দিয়ে কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষ করে খালাস পর্যায়ে ডেলিভারির উদ্দেশ্য কন্টেইনারগুলো এছাক ব্রাদার্সের কন্টেইনার ডিপোতে নিয়ে যায়। বুধবার রাত ১১টায় আমদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ ‘প্রগতি কার্গো সার্ভিস’ এর প্রতিনিধি গোপনে কন্টেইনার খুলে পণ্য ট্রাকে লোড করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যের ওই চালানটির ডেলিভারি আটকে দেন।

বৃহস্পতিবার পরীক্ষানিরীক্ষা করে কাস্টমস কর্মকর্তারা দেখেন, চালানটিতে শূন্য শুল্কের কাঁচা তুলার পরিবর্তে রয়েছে উচ্চ শুল্কের (৮৯%) সোফা ফেব্রিকস।

এছাক ডিপোর দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, প্রাথমিক তথ্য মতে আমদানিকারক অসত্য ঘোষণার ফলে অনুমানিক এক কোটি চল্লিশ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল। এ চালানের ওপর কাস্টমস কমিশনার ২০০ শতাংশ জরিমানা করলে প্রায় ৪ কোটি টাকায় হবে। তবে এ অনিয়মের জন্য আমদানিকারকের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিংয়ে আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সিএন্ডএফের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!