কাউন্সিলর মনোনয়নে এগিয়ে যারা (প্রথম পর্ব)

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ঘোষণা একদিন পিছিয়ে যেতে পারে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা একদিন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। এবারের চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বেশ কিছু নতুন মুখ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাবেক কাউন্সিলরদের অনেককেও বেছে নেওয়া হতে পারে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নির্ভরযোগ্য নেতার সাথে আলাপ করে এ সকল তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলেছেন, এবারের চসিক নির্বাচনে বেশ কিছু নতুন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করা সাবেক কাউন্সিলরদেরও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর মনোনয়নের লড়াইয়ে ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন আরেক কফিল। তিনি আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক জিএস ও চট্টগ্রাম মহানগরের যুবলীগের সদস্য মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন।

৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ডে এগিয়ে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের। তিনি আগে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকার সময় জনদুর্ভোগের কারণে এলাকায় অসন্তোষ রয়েছে তার প্রতি। তাছাড়া তিনি স্থায়ীভাবে মোহরার বাইরে বসবাস করছেন এক দশক ধরে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন এমপি পদে নির্বাচন করতে চেয়ে মনোনয়ন ফরম কিনে তিনি আলোচনায়ও এসেছেন তিনি। তবে এবার এমপি থেকে হঠাৎ করে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন চাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মাঝেও হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে এই ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে তাহেরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছেন দিদারুল আলম। দিদার বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সহ-সভাপতির পাশাপাশি ছিলেন প্রয়াত এমপি মইন উদ্দিন খান বাদলের ছায়াসঙ্গী। এলাকায় তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের ওপর ভর করে প্রথমবারের মতো জনপ্রতিনিধি হতে চান এক দশকের সাংবাদিক দিদার।

১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী। নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি তিনি।

১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে আশা জিইয়ে রেখেছেন আবুল হাসনাত বেলাল। তিনি নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা।

১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ। ১৯৮৭ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ফরহাদের পিতা ডা. মোশাররফ হোসেন চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকা ফরহাদ একজন ব্যবসায়ী। কাপাসগোলা সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন আব্দুল মান্নান। গত নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এই প্রার্থী গত সময়ে এলাকার বিভিন্ন দুর্ভোগ ও সমস্যা নিয়ে সরব ছিলেন।

২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেতে পারেন অ্যাডভোকেট এমএ নাসের। জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তিনি। তবে এখানে মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে এখনও জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফরহাদুল ইসলাম চৌধুরী রিন্টু। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক তিনি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমসহ চট্টগ্রামের ৫ শীর্ষ নেতা। সেখানেও কাউন্সিলর মনোনয়ন প্রসঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এবং যাদের বিরুদ্ধে অন্যায় কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নেই, তাদেরই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

এআরটি/এসএস/সিপি

দ্বিতীয় পর্বে—
২৪ থেকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে যারা এগিয়ে আছেন

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!