মাঝারি আকারের কলা ডজনে বিক্রি হতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা। রমজানের শুরুতে সেই কলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। আকারভেদে প্রতি ডজন কলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকায়। চাহিদা বাড়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্বাভাবিক দাম হাঁকাচ্ছে— এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
রমজানকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করে তুললেও বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তেমন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত পকেটভারি করছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় অতিরিক্ত দামে কলা বিক্রি করার তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার শুরুতে চাহিদা বেড়েছে। কলার মজুদ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কলা সরবরাহ হয়ে থাকে। পার্বত্য এলাকায় আকারভেদে পুরো এক ছড়া কলা (স্থানীয় ভাষায়) বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়। সেটি ভোক্তা পর্যায়ে কয়েকগুণ দাম বেড়ে ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকায়।
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছোট আকারের কলা ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে। কলা আকারে একটু বড় হলেই সেটির ডজন ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। কক্সবাজার শহরেও কলা বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত দামে।
চট্টগ্রামের এক কিলোমিটার এলাকা থেকে দুই জোড়া দেশি কলা ৫০ টাকায় কেনার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মী এসএম হানিফ। ওই পোস্টে মাইন উদ্দিন হাসান শাহেদ নামের এককজন মন্তব্য করেছেন, ‘অনেক কম। কক্সবাজারে জোড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।’ মোহাম্মদ ইউসুফ নামের আরেকজন জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের বালুচড়া এলাকায় একটি দেশি কলা বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়।
পেকুয়া কবির আহমেদ বাজারে কলা কিনতে আসা আরিফুল ইসলাম জোসেফ বলেন, সেহেরি ও ইফতারে কলার ব্যবহার রয়েছে। যার কারণে চাহিদা বেড়েছে। তবে এভাবে দাম বাড়ানো অনৈতিক। মানুষকে জিম্মি করে বেশি দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা।
আরএম/সিপি