কর প্রদানে ভীতির বদলে প্রীতির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, মানুষ এখন স্ব-প্রণোদিত হয়ে কর দিচ্ছে। সরকার ও আয়কর বিভাগের নানা পদক্ষেপের কারণে এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন উৎসবমুখর পরিবেশে কর দেয় বলেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে আগ্রাবাদস্থ সিজিও বিল্ডিংয়ে আয়কর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন, কর সংস্কৃতি বিকাশ ও জনমনে কর ভীতি দুর করে রাজস্ব আহরণ কাঙ্খিত পর্যায়ে উন্নীত করে দেশের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান করার লক্ষে জাতীয় আয়কর দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনসচেতনতামূলক করবান্ধব কর্মসূচির ফলে পুরো নভেম্বর মাসটিই আয়কর বিষয়ক উৎসবের মাসে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আদায়ে স্বয়ংসম্পুর্ণ হতে হচ্ছে বাংলাদেশ। এই ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে কর আদায় কাঙ্খিত হারে বাড়বে। রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ এর পথ ধরে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত পথে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মাসেতু, মেট্টোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প। এই সব প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের আভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এই ক্ষেত্রে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা এবং আয়কর খাতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।
জানা গেছে, ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর ৭ দিনব্যাপি আয়কর মেলা সারাদেশে ১২০টি স্পটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় আয়কর দিবস পালনের মাধ্যমে নভেম্বর মাসের আয়কর উৎসবের সমাপ্ত হয়েছে। তবে কর কার্যালয়গুলো এই ইতিবাচক ধারা সারাবছর ধরে বজায় থাকবে।
আয়কর দিবস প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কর কমিশনার জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব সফিনা জাহান বক্তব্য রাখেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, ইকবাল হোসেন, মাহবুবুর রহমান, মফিউজ উল্লাহ, অতিরিক্ত কর কমিশনার সামিনা ইসলাম ও কর আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে সিজিও বিল্ডিং-২ থেকে একটি শোভাযাত্র বের হয়।
এসএ