কর্ণফুলীর চরহাজারী সেতুটি নড়বড়ে, ভেঙে পড়ার শংকা

কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ও শিকলবাহা ইউনিয়নের চরহাজারী খালের ওপর সেতুটি দুই ইউনিয়নবাসীর নিত্য পারাপারের একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেতুটি এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে সেটা যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।

কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে বানানো সেতুটিতে ছোট যানবাহন গুলো কোনোমতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও একেবারে চলাচলা করতে পারে না বড় কোনো যানবাহন।

দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় এমন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়েই দুই ইউনিয়নবাসীকে পারাপার করতে হচ্ছে। সেতুটি এতটাই নরবড়ে যে, এটি যে কোনো সময় ধসে পরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্য এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করে। সেতুটি দিয়ে পারাপারে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের। প্রতিনিয়ত দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা।

সদরের ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট বাজার, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাতায়াত, মামলা মোকদ্দমাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে এই সেতুর ওপর দিয়েই মানুষদের যেতে হয় শহরে। রিকশা-ভ্যানসহ হালকা যানবাহন চললেও ভারী কোনো যানবাহন চলতে পারে না বলে জানান এলাকার লোকজন।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মুছা চট্টগ্রাম প্রতিদিনেক বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বড় যানবাহন নিয়ে কয়েক কিলোমিটার সড়ক ঘুরে যেতে হয় শহরে। এতে বেশি সময়ও লাগে। সেতুটি নতুন করে নির্মিত না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সেতুটির বিষয়ে জানতে চাইলে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও জুলধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনেক বলেন, এ এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি নতুন করে নির্মিত হলে বড় যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন, সেতুটি সরেজমিনে দেখে নতুন করে নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য তালিকা পাঠানো হবে। বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু হবে।

এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!