কর্ণফুলীতে জমি নিয়ে বিরোধ, কিরিচের কোপে আহত ৪

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় কিরিচের চার জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইছানগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন—এসএম ফয়সালের ছেলে শেখ মোহাম্মদ নেওয়াজ (১৬), ফয়সালের ভাতিজা সিরাজুল মনির (২০), প্রতিপক্ষের মৃত হাছান আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (৪০) এবং আব্বাস উদ্দিন (৩৫)। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় এসএম ফয়সাল বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হলেন—মৃত হাছান আলীর ছেলে আব্বাস উদ্দিন (২৬), সাহাব উদ্দিন (৪৮), নুর উদ্দিন (৪৬), সালাউদ্দিন (৪৩) এবং সাহাব উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আসিফ (২০)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন বিবাদিরা এসএম ফয়সালের দখলীয় জায়গায় প্রবেশ করে বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ফেলে এবং শ্রমিকদের মারধর করে ৫০ হাজার টাকার নির্মাণসামগ্রী নষ্ট করে। বাধা দিতে গেলে শেখ মোহাম্মদ নেওয়াজ ও সিরাজুল মনিরের মাথায় কিরিচ দিয়ে কোপ মারে।

এছাড়া বাদি ফয়সালকে মারধর ও তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগও আনা হয়েছে। আসামিরা ফয়সালকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

এসএম ফয়সাল দাবি করেন, ২০১৩ সালে তার ভাই মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে খুন করেছিল প্রতিপক্ষ। ওই ঘটনায় তিনি ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেই মামলা তুলে নিতেই প্রতিপক্ষ বারবার তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি রোববার রাতেও চট্টগ্রাম মেডিকেলে ৩০-৪০ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফয়সাল।

এদিকে আব্বাস উদ্দিনের বড় ভাই শামসুদ্দিন বলেন, ফয়সালরা জোরপূর্বক জমি দখল করতে চাইলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তার দুই ভাইও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলা করবেন কি-না, তা পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।

স্থানীয় লোকজন জানান, বহিরাগত কিশোর গ্যাংয়ের কিছু যুবক চরপাথরঘাটার ইছানগরে এসে প্রায় সময় কারো না কারো পক্ষ নিয়ে গন্ডগোল ও মারামারিতে জড়াচ্ছে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং একটি পক্ষ মামলা করেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

জেজে/ডিজে