চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের নারীসহ আহত ৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। পরে কর্ণফুলী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন জাকির হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৩৮), নুর নবীর স্ত্রী নুর নাহার বেগম (২৫), মাসুদা বেগম (৬৫), মোহাম্মদ সোহেল (২৫) ও মোহাম্মদ এমরান (১৫)।
জানা গেছে, সোমবার একটি খেলা নিয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ মো. লোকমানের সঙ্গে এলাকার ছেলেদের খেলা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গ্রাম পুলিশ ও তার লোকজন ছেলেদের ঘরে এসে হামলা চালায়। ঐ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে আবারও দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘স্থানীয় মেম্বারের নির্দেশে চৌকিদার ও তার লোকজন আমার ছোট ছেলেকে মারতে আসে। এ সময় আমি বাধা দিলে আমাকে মারধর করে এবং ঘর ভাংচুর করে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, ‘কোনো খেলাকে কেন্দ্র করে নয়, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম পুলিশ লোকমান ও শামসুর বিরোধ চলছিল। আজ সকালেও চৌকিদারের বিরুদ্ধে বিচার নিয়ে আসে শামসু। কিন্তু বিকালে শুনি আমার মার্কেটের দোকানে হামলা করেছে এবং ঘরে ইট মেরে আমার মাকেও আহত করেছে। এ ঘটনায় কারো সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। যারা দোকান ভাংচুর ও আমার মায়ের উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব।’
তবে স্থানীয় শিকলবাহা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দু’পক্ষের মারামারি ঘটনার খবর শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে জানাব।’
এএইচ