করোনা এড়াতে দামপাড়া ছাড়ছে চট্টগ্রামের ট্রাফিক পুলিশ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) সদস্যদের দামপাড়া পুলিশ লাইন্স থেকে নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টারে স্থানান্তর শুরু হয়েছে। সিএমপি পরিচালিত স্কুলে ৩৩ কক্ষ কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ২০টি আইসোলেশন শয্যা ও ১৬ শয্যার ফ্লু কর্নারও চালু করা হয়েছে।

২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে অবস্থানরত ৮ জন সদস্যের শরীরে করোনা শনাক্ত হলো। যারা সবাই ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।

সিএমপির উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) আব্দুল ওয়ারিশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের যেসব সদস্য করোনা আক্রান্তদের লকডাউনের কাজে যেতেন তাদেরকে ওই থানায় এলাকায় অবস্থান করার ব্যবস্থা শুরু থেকেই আমরা করেছিলাম। যাতে আক্রান্তদের স্পর্শে আসার কারণে জীবাণু অন্য এলাকায় আমাদের সদস্যদের মাধ্যমে না ছড়ায়।’

বিশেষ শাখার এই উপকমিশনার বলেন, ‘এরপর নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে পরিকল্পনা নেন সিএমপি কমিশনার স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে অবস্থানরত সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় ব্যারাকের মেকানিক্যাল অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের ৭৫ পুলিশ সদস্যকে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এবং কিছু সদস্যকে কে-স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারের সরিয়ে নিয়েছি। সর্বশেষ সোমবার (২৭ এপ্রিল) পুলিশ লাইন্স থেকে ৩৩ সদস্যকে নগরীর চকবাজারস্থ ফ্রেশ ইন হোটেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওরা সবাই ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।’

আব্দুল ওয়ারিশ আরও জানান, ‘জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি মাথার রেখে দামপাড়া বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ২০টি আইসোলেশন শয্যার প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৬ শয্যার ফ্লু কর্নারও চালু করা হয়েছে। সিএমপি পরিচালিত স্কুলের ৩৩টি কক্ষ কোয়ারেন্টাইনের জন্য আমরা প্রস্তুত রেখেছি।’

তিনি বলেন, ‘সিএমপির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বরত কোন সদস্যের যদি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয় নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনার স্যার নির্দেশ দিয়েছেন। সিএমপি পরিবারের প্রতিটি সদস্য যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজার রাখাটা নিশ্চিত করতে পারে সে লক্ষে আরও আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা আলোচনা করছি।’

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!