করোনা উপসর্গ নিয়ে চবি কর্মচারীর মৃত্যু, বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আতংক

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রকৌশল দপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ছিলেন।

শনিবার (৩০ মে) দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জানা যায়, ওই কর্মচারীর নাম মোহাম্মদ হুমায়ন ভূঁইয়া। তার বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট এলাকায়। তার মরদেহ ফেনী জেলার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ২ নম্বর গেইট উত্তরা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চীফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শনিবার ভোরে ওই কর্মচারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান। তার গায়ে জ্বর ছিল। তিনি ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত ছিলেন। চমেকে তার নমুনা নেওয়া হয়েছে। করোনায় মারা গেছে কিনা তা রিপোর্ট দিলে জানা যাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওই কর্মচারীর কিছুটা করোনা উপসর্গ ছিল। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তার বাসা থেকে কাউকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।’

করোনা উপসর্গ নিয়ে কর্মচারীর মৃত্যুর সঙ্গে ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খোলার আলোচনা হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

ইতোমধ্যে অফিস খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে দফায় দফায়৷

বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির এক নেতা বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৌখিকভাবে বলেছি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন, কর্মস্থলসহ প্রত্যেক স্থানে সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে। বাসে কিছুতেই একজনের পাশে অন্যজন বসতে পারবে না। প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই, মাস্কসহ সুরক্ষাসামগ্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সরবরাহ করতে হবে। কোনো কর্মচারী কর্মস্থলে কাজ করার পর যদি করোনা আক্রান্ত এবং মারা যায় উভয়ক্ষেত্রেই তাহলে যুক্তিযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিতে হবে। এসব নিশ্চিত হলে কর্মচারীরা কাজে যোগদান করবে।’

এমআইটি/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!